এর আগে একাধিক দেশে আগেই প্রশংসিত হয়েছিল বাংলার ছবি। সত্যজিৎ দাস পরিচালিত 'পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক' ছবি এবার পা রাখল রাশিয়ায়। তারকভস্কি, আইজেনস্টাইনদের দেশের একটি টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে বিশ্বের সেরা কিছু সিনেমা। সেখানেই জায়গা করে নিয়েছে 'পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক'।
রাশিয়ায় আসার আগে সত্যজিতের এই ছবি আফ্রিকা-জয় করে এসেছিল। আফ্রিকান একটি টিভি চ্যানেলের প্রিমিয়ারে এই ছবি প্রভূত প্রশংসা কুড়োয়। ক্রিটিক্স চয়েস আওয়ার্ডও জিতে নেয় এই ছবি।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। তারপর টানা পাঁচ সপ্তাহ থিয়েটারে এই সিনেমা চলে।
৯০ মিনিটের এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ রহমান। একজন অন্ধ বালকের চিত্রকর হয়ে ওঠার এই গল্প এই সিনেমার চিত্রনাট্যের মূল ভিত্তি। দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়ে ওঠে এক কিশোর গ্রামে। বাবা ছেড়ে যান আগে। সেই ছেলেটির বন্ধু তাঁকে উপলব্ধির প্রাথমিক পাঠ দেয়। চারটে ইন্দ্রিয়ের সেই পাঠ ভুলিয়ে দেয় দৃষ্টিশক্তির অক্ষমতা। অন্ধ চিত্রকরের সঙ্গে মা-ছেলের সম্পর্ককেও একটি সুতোয় গেথেছেন তিনি। এই ছবিতে রয়েছে অন্ধত্বের সঙ্গে অস্তিত্বের লড়াইও।
সাংবাদিক সম্মেলনে সত্যজিৎ দাস
কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পাশাপাশি এই ছবি স্লোভাকিয়া, কায়রো, পর্তুগাল, পেরু, গুয়েতমালা, কলম্বিয়া সহ একাধিক দেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়। ২৪ বছরের সত্যজিৎ বলছিলেন, "আমি অন্ধকার দিক বেশি পছন্দ করি। এটা দর্শকদের আরো ভালোভাবে ছুঁতে পারে। নিজেদের সঙ্গে সংযোগ করতে পারেন ওঁরা।"
সত্যজিতের পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক বড় পর্দার প্রথম ছবি। এর আগে স্বল্পদৈর্ঘ্যের 'দুই পৃথিবী' ছবিতেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। ১২ মিনিটের এই নির্বাক ছবি দেখিয়ে যায় সমাজের নিষ্ঠুরতা তাও আবার দুর্গা পূজার আবহে।
সত্যজিত যে লম্বা রেসের ঘোড়া তা এখন থেকেই লিখে দেওয়া যায়।