প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো: চোখের সামনে সত্যি হল কাঙ্খিত কল্পদৃশ্য

সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় 'প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো' - আর কিছু না হোক, অনায়াসে কল্পনার জগতের প্রবেশদ্বার।

সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় 'প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো' - আর কিছু না হোক, অনায়াসে কল্পনার জগতের প্রবেশদ্বার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বছর শেষে ফিরে দেখা, বাংলা সিনেমার সেরা ১০

প্রোফেসরের ভূমিকায় ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

ছবি: প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো

পরিচালক: সন্দীপ রায়

অভিনয়: ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়

রেটিং: ৩.৫/৫

পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি। তখন বিভোর না হলেও খুঁত বার করা মুশকিল বইকি! আর যদি কোনও গল্প সাদামাটা ঝকমারি ছাড়াই বলা হয় তাহলে! সেই শৈশব থেকে কল্পনা করে আসা মিরাকিউরল বড়ি, নিশ্চিহ্নাস্ত্র নিমেষে সত্যি হয়ে উঠলে রোমাঞ্চ হওয়ারই কথা। সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় 'প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো' - আর কিছু না হোক, অনায়াসে কল্পনার জগতের প্রবেশদ্বার।

Advertisment

ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু, গিরিডিবাসী এই বিজ্ঞানী এবং তার আবিষ্কারকে নিয়েই এক রোলার কোস্টার রাইড। ২০১৯-এর প্রেক্ষাপটেই তৈরি পরিচালকের চিত্রনাট্য। হঠাৎ করেই এক পাবলিশারের হাতে আসে শঙ্কু-র ডায়েরি। গল্প এগোয় সেখান থেকেই। নকুড়বাবুর সঙ্গে দেখা হয় শঙ্কুর। ব্রাজিলের রাটানটান ইনস্টিটিউটে সায়েন্স কনভেনশনে শঙ্কুর সঙ্গে পাড়ি দিলেন নকুড়। সেখানে পৌঁছেই শঙ্কুকে অ্যাভেঞ্চারের নেশা পাকড়াও করল, সঙ্গে পৌরাণিক শহর এল ডোরাডোর সন্ধান আরও বেশি রোমাঞ্চকর করে তুলবে চিত্রনাট্য। এর ফাঁকে অবশ্য এসেছে সলোমন ব্লুমগার্টেন। শঙ্কুর আবিষ্কারের পেটেন্ট কিনতে চাওয়া ও এল ডোরাডোর সন্ধান পেয়ে সোনার মালিক হওয়াই তার লক্ষ্য। যাত্রা পথে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলিয় উপজাতি ও অ্যানাকোন্ডা। কিন্তু শঙ্কু ও তার বন্ধুরা কী খোঁজ পাবে এল ডোরাডোর?

publive-image সন্দীপ রায় ও অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, Dabangg 3 movie review: তেলে-বেগুন হয়ে ওঠার সব রসদ মজুত

Advertisment

সন্দীপ রায়ের পরিচালনা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার থাকে না। দেওঘর, কলকাতা কিংবা ব্রাজিল-কোথাও অত্যাধিক বাড়াবাড়ি নেই। গল্পের প্রয়োজনে ঠিক যতটুকু বিদেশ-বিভুঁই দেখানো কর্তব্য ততটুকুই রয়েছে পর্দায়। আর রয়েছে ভিএফএক্স। এখানে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে যার ব্যবহার মানানসই। আর ভাললাগা কারণ ক্ষোদ চিত্রনাট্য। সন্দীপ রায়ের কৃতিত্ব এখানে না মানলেই নয়। প্রোফেসরের ভূমিকায় ধৃতিমান যথাযথ। নকুড় বাবুর ভূমিকায় শুভাশিস মুখোপাধ্যায় অনবদ্য। আবারও বলা চলে টলিউড তাঁকে ব্যবহার করেনি।

সন্দীপ রায়ের আবহ মোটের উপর ভাল। তবে মোহিত করল না সিনেমাটোগ্রাফি। আমাজন ও সাও পাওলো-র জঙ্গলের ঝলক শিহরণ জাগায় না ঠিকই অ্যাডভেঞ্চার ও অ্যাকশান মুহূর্তগুলো রোমাঞ্চরক বটে। সুব্রত রায়ের সম্পাদনা ছবির গতিকে বেঁধে রেখেছে। তবে খামতি থাকুক বা না থাকুক ছবিটার নাম 'প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো'। তাই নস্ট্যালজিয়ায় গা ভাসাতে হলে ঢুঁ মারতেই হবে।

Bangla Movie Review satyajit ray professor shanku sandip roy