বাংলা ছবির ভিলেন বলতে ঠিক কার কার চেহারা মনে পড়ে? খুব ভাল করে মনে করলে দেখা যাবে দীপঙ্কর দে কিংবা দুলাল লাহিড়ী... তারপর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ে একটাই মানুষ। কটা চোখ, গেল ভর্তি দাঁড়ি... বাংলার ঘরে ঘরে বাচ্চারা ভয় পেতেন একজনকেই তিনি সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়।
একচেটিয়া ভিলেন হয়েছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৪০ বছর। সেই মানুষটা আজ কোথায়? হারিয়ে গিয়েছেন নাকি সুযোগ হচ্ছে না? কিছু বছর আগেও দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন তিনি। তারপর থেকে একেবারেই অন্তরালে। তবে, এবার তিনি মুখ খুলেছেন। বাংলা ছবির নতুন অধ্যায়, সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না কেন? এমন ডাকসাইটে অভিনেতা। দেবের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ২ এ কাজ করেছিলেন। তাহলে কি বাংলা সিনেমার ভিলেনের টেস্ট বদলে গেল?
প্রসঙ্গে কী বলছেন সুমিত?
তিনি বললেন, আমায় দর্শকরা দেখতে পারছেন না তাঁর একটাই কারণ, আমি যে পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতাম তারা হারিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের দেখতে পারছেন মানুষ? এখন যারা এসেছেন। যে পরিচালকরা? ছেলে মেয়ে গুলো সব আঁতেল! তারা সিনেমাটা বোঝে না। অদ্ভুত সব বিষয় নিয়ে আসছে সিনেমায়। একটা হাত নেই, একটা পা নেই... অদ্ভুত সব হিরো। বস্তিতে থাকে, একটা চূড়ান্ত গরীব হিরো। তাকে গিয়ে আমি মারব? পাবলিক দেখবে?
নব্য পরিচালকদের নিয়ে বিস্ফোরক তিনি। প্রকাশ্যে জানালেন, এরা মানুষের আবেগ জানে না। মানুষ কি পছন্দ করে জানে না। মারধর করা ছবি না হলে, আমায় দেখা যাবে কী করে? সম্ভবই না। আর এখন যারা পরিচালক, তারা আমায় চেনেই না। তাঁরা বাংলা ছবি দেখেনি কোনোদিন। তো, আমার সুযোগ আসবে কোথা থেকে?
প্রসঙ্গত, জীবনে পরপর এত ছবি। ভিলেন হিসেবে নিদারুণ পরিচিতি তাঁর। একবার নিজেই বলেছিলেন, আমার নাম করে বাচ্চাদের ভয় দেখাতো মায়েরা। ইন্ডাস্ট্রির তারকা সন্তানদের অনেকেই সুমিতকে ভয় পেতেন। তাঁর মধ্যে অন্যতম রচনা পুত্র রৌনক। তবে, এটুকু সাফ জানালেন তাঁর মেয়ে একদমই ইন্ডাস্ট্রিতে আসবে না। ও শিক্ষকতা করতে চায় আর সেটাই করবে।