উড়ন্ত মালা, উড়ন্ত সিঁদুর… আর তাতেই কিনা স্বামী-স্ত্রী! বাংলা সিরিয়ালের এহেন প্লট নিয়ে নেটদুনিয়ায় একেবারে হাসির রোল। নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন- দর্শক টানতে, টিআরপি বাড়াতে আর কী কী করবেন ধারাবাহিক নির্মাতারা? এবার আরেক বাংলা ধারাবাহিককে নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সেটা হল- 'আয় তবে সহচরী'।
স্টার জলসার জনপ্রিয় এই সিরিয়ালের একটি টানটান উত্তেজনার প্রোমো ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, বরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে কনের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন অন্যজন। শুধু তাই নয়, নাটকীয়ভাবে সিঁদুর পরানোর দৃশ্যও দেখানো হয়। আর সেই নিয়েই নেটদুনিয়ায় এখন হাসি-ঠাট্টার অন্ত নেই। 'আয় তবে সহচরী'র দৃশ্য নিয়ে ট্রোল-মিমের ছড়াছড়ি।
'আয় তবে সহচরী'র ওই উত্তেজনামূলক পর্বের গল্পটা কীরকম? দর্শকরা ইতিমধ্যেই দেখেছেন যে, নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন গল্পের খলনায়িকা দেবিনা। সমরেশকে ক্রমাগত বিয়ের চাপ দিতে থাকে সে। অন্যদিকে সিঁদুর মুছে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে যায় সিরিয়ালের নায়িকা সই। কিন্তু সইকে তো এত সহজে হেরে যেতে দেবে না বরফি। তাই সকলের সামনে দেবিনার ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেয় সে। উকিল ঘুষ খেয়ে মিথ্যে বলছে। এরপরই সমরেশ বেঁকে বসে যে সে এই বিয়ে করবে না। কিন্তু দেবিনা তো নাছোড়বান্দা!
<আরও পড়ুন: বাড়িতে বউ-বাচ্চা আছে, ৪ বছরে ১ টাকাও কামাইনি: মাধবন>
এরপর গররাজি হয়ে ছাদনাতলায় যায় সমরেশ। যে-ই কিনা দেবিনা তার গলায় মালা দিতে যাবে ওমনি সমরেশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় বুবাই। সমরেশ-সইয়ের বিয়ে বাঁচাতে একপ্রকার বলিদান দেয় সে। সেই নাটকীয় দৃশ্যেই দেখা যায় যে, সমরেশকে ধাক্কা দিয়ে সরাতেই দেবিনার হাতে থাকা মালা যায় বুবাইয়ের গলায়। এরপর পুরোহিতের থালায় রাখা সিঁদুর নিয়ে দেবিনার সিঁথিয়ে পরিয়ে বুবাই। ব্যাস! বিয়ে সম্পন্ন! আর 'আয় তবে সহচরী' সিরিয়ালে এমন দৃশ্য দেখেই হেসে খুন নেটিজেনরা। কেউ কেউ তো আবার বলছেন, "এভাবেই নিজের ক্রাশকে বিয়ে করা উচিত।"
নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশরা কিন্তু বেজায় সজাগ। চুন থেকে পান খসলেই মিম-ট্রোলের ছড়াছড়ি। অতঃপর ধারাবাহিকে এমন গাঁজাখুরি প্লট নিয়ে যে তাঁরা আওয়াজ তুলবেন, সেটাও অসম্ভব কিচ্ছু নয়! তবে একপক্ষ আবার নস্ট্যালজিয়া চাগিয়ে বলছেন, “একটা সময় ছিল যখন বাংলা সিরিয়ালের বিষয়বস্তু কত মজার ছিল। ফ্যামিলি ড্রামা, মেসবাড়ির বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালবাসা, আবেগ-অনুভূতি সবই থাকত। আম-গল্প দেখানো হত। কিন্তু ওই সাধারণত্বেও কত অসাধারণ কন্টেন্ট ছিল। আজকাল আর সেসব কোথায়?”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন