বাংলা সিরিয়ালে কত কিছু যে সম্ভব, তা না দেখলে বিশ্বাস করাই যায় না। সিরিয়ালের TRP বাড়াতে গল্প এমন দিকে ঘোরানো হয়, যাতে অবাকের পাশে পাশে চমকে যেতে হয়। আর এবার তো, একটি ধারাবাহিকে যা হল...
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে কোন গোপনে মন ভেসেছে বেশ পছন্দ করেছেন দর্শকরা। শ্যামলী এবং অনিকেতের অন্য রকম গল্প নজর কেড়েছে বাংলার মানুষদের। শেষ কিছুদিনে প্রমোতে দেখা যাচ্ছিল, তাঁদের বাড়িতে চিতাবাঘ ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে, যেই পর্বটি সম্প্রচারিত হয়েছে...
অনিকেতের থেকেও যথারীতি শ্যামলীর শত্রু সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে, তাঁকে রাস্তা থেকে সরাতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু গ্রাফিক্স দিয়ে নির্মিত বাঘটি বাড়িতে ঢুকতেই হই হট্টগোল। চিতাবাঘকে সামনে দেখেই হতভম্ব অনিকেত। তারপর, শ্যামলী এন্ট্রি নিতেই আসল খোরাক শুরু! কেন? বাঘ বাড়িতে ঢুকে তো পড়েছে। কিন্তু, তাঁকে তাড়ানোর জন্য কোনও উপায় শ্যামলী ছাড়া আর কেউ বের করতে পারল না।
আর যেই উপায় সে বের করল তাতে হল চূড়ান্ত ট্রোল। বাঘ বলে কি মান অপমান নেই? তাঁকে তাড়ানোর জন্য এসব। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাঘ তাড়াতে শ্যামলী প্রথমে শঙ্খ বাজাতে শুরু করে। আর তারপরই, সে বাড়ির সবাইকে ডেকে বলে যে যা পারো, জোরে জোরে বাজাতে শুরু করো। এরপরই, তাঁদের দেখা যায় কাঁসর ঘণ্টা, ঢাক ঢোল সব বাজাতে শুরু করে দেয়।
আর এই দেখেই বাঘ পিছু হটতে শুরু করে। কিন্তু না! এখানেই শেষ না। এরপরই শুরু হল হাসাহাসি। চিতাবাঘ তাড়াতে এসব? কেউ বললেন... "বাঘ টা রাস্তায় বেড়িয়ে কোনদিকে গেল কেউ জানলে বলবেন প্লিজ। আবার যদি আমার বাড়ি এসে উপস্থিত হয় বাবাগো! আমি শাঁখ, ঘন্টা, কাঁসর সব তৈরি করে রেখেছি।" আবার কেউ বললেন...
"এই পর্ব টা লেখার সময় গাঁজা টা একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলো। কারওর কথায়, এইসব দেখার আগে চোখে ছানি পড়লো না কেনো আমার কে জানে।" সংলাপে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'এটা তো মানুষ মারা বাঘ।' তাই কেউ এমনও বললেন... "মানুষ মারা বাঘ আর ভেজিটেরিয়ান বাঘ কি আলাদা হয়?" হাসি ধরছে না দর্শকদের। আমজনতা হেসে খুন এসব দেখে। স্বাভাবিক, বাঘকে দেখে তাঁরা ভয় না পেয়ে এমনভাবে আচরণ করতে দেখে কেউ কেউ সিরিয়ালের নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন...
"থালা বাটি বাজালে সবই পালিয়ে যায় সে করোনা হোক বা চিতাবাঘ। কারওর কথায়, "পরিচালক গাঞ্জা সেবন করে এই এপিসোড বানাইছে। আর কোন কাহিনী খুঁজে পেল না।"কেউ বললেন, "নাইস ট্রিক! এরপর জঙ্গলে গিয়ে ঘোরাঘুরি করবো আর সামনে বাঘ দেখলেই শঙ্খ, কাঁসর, ঘন্টা বাজাবো।"