Miss JoJo - Poush parbon: পৌষ পার্বণ মানেই বাঙালির দেদার খাওয়াদাওয়া। সারাবছর ধরে, মানুষ মুখরোচক কিংবা নোনতা কিছু খেলেও এই সময়টা তাঁরা মিষ্টি বেশি পছন্দ করেন। বছরের এই বিশেষ কয়েকটা দিন তাঁরা যেন অপেক্ষা করে থাকেন ঠিক কবে নলেন গুড়ের মরশুম আসবে এবং তাঁরা আয়েশ করে পিঠে পুলি খাবেন।
টলিপাড়ার এমন অনেক তারকা আছেন, যাঁরা ভোজনরসিক। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা জোজো ( Miss JoJo )। তিনি এতটাই খেতে ভালবাসেন যে মাঝেমধ্যে অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর দেশের বাড়িতে পিকনিক করতে চলে যান। কথায় বলে, যাঁরা ভীষণ খেতে ভালবাসেন তাঁরা কিছুর পরোয়া করেন না। আর সত্যি বলতে গেলে জোজো নিজেমুখেই স্বীকার করেছেন যে তিনি খেতে ভালবাসেন। তাই তাঁর পৌষ পার্বণের খাওয়াদাওয়া নিয়ে জানতে যোগাযোগ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
যদিও বা ছোটবেলার সঙ্গে বড়বেলার ঘটনা অনেক পাল্টে যায়। চেনা মানুষগুলো থাকেন না আর। জোজো, ছোটবেলার স্মৃতি ভাগ করে বললেন, "ছোটবেলায় মনে আছে দিদা বানাতেন পিঠে পুলি আর আমি খেতাম। তারপর, যখন বড় হলাম, এদিক ওদিক যেতাম অনুষ্ঠান করতে, তখন পৌষ পার্বণের সময় আমায় সবাই রান্না করে এনে দিত। তারপর, আমায় বাড়িতে যিনি কাজে সাহায্য করেন উনি এনে দিতেন। আসলে খাওয়ার লোক তো নেই। আমি আর আদি।"
আরও পড়ুন হাঁড়ির মুখে নতুন গামছা বেঁধে পিঠে বানাতে গিয়ে সব লাল রং হয়ে গিয়েছিল: অপরাজিতা আঢ্য
তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিলেন যে ব্যস্ততা কাটিয়ে তাঁর নিজের এসব বানানোর সময় নেই। শুধু কি সময়? একেবারেই না। বানাতেও পারেন না তিনি। নেহাতই সহজ ঘটনা নয় এটি। পিঠে পুলি সঠিকভাবে বানানো একেবারেই সাধারণ কথা নয়। তাই তিনিও পারেন না। কিন্তু সন্তান খেতে ভালবাসলে মায়েরা অনেক কিছুই নতুন বানাতে শেখেন। তাঁর ছেলের কি একদম এসব ঝোঁক নেই? তিনি বলেন...
"আমার ছেলে যে খায় না, সেটা না। ও খায়। কিন্তু খুব অল্প। আসলে মিষ্টি জিনিসটা ওর খুব একটা পছন্দ না। চকোলেট জিনিসটাও দেখেছি অন্য বাচ্চারা যেমন মুঠো মুঠো খায়, এ খুব অল্প খায়। আসলে ওর স্ন্যাকস জিনিসটা খুব পছন্দের।"