আদালতের ঘরে নিজের মামলার পক্ষে-বিপক্ষে সওয়াল করছে জবা, কখনও উত্তেজিত তো কখনও নরম স্বরে। দৃশ্যটা বাংলা ধারাবাহিক 'কে আপন কে পর'-এর। আর এই দৃশ্যই ভাইরাল হয়েছে সোশালে, রীতিমতো ট্রোলড হচ্ছেন নায়িকা। কারণটা হল আদালতে তো রয়েছেন কিন্তু মামলা লড়ছেন অক্সিজেন মাস্ক মুখে নিয়ে। মাস্ক খোলা-পরাও করছেন অনবরত। আর এই কারণেই নেটিজেনদের হাসির পাত্র হয়েছেন পল্লবী শর্মা অর্থাৎ পর্দার জবা।
সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল জবা। ফোটো- সোশাল মিডিয়া থেকে
ধারাবাহিক অনুযায়ী, জবা অসুস্থ। আর সে কারণেই অক্সিজেন মাস্ক পরেছেন। কিন্তু তাই বলে আদালতেও! এতেই হকচকিয়ে গিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, গল্পের গরু গাছে ওঠার তো একটা সীমা থাকবে। সুতরাং, ট্রোল। কেউ বলছেন, ''এই হল বাংলা সিরিয়াল! অক্সিজেন মাস্ক নিয়ে নাকি সওয়াল-জবাব।'' কারও মতে, ''এই কারণেই বুদ্ধির জোর লাগে চিত্রনাট্য তৈরি করতে। এত বুদ্ধি সিরিয়ালওয়ালা ছাড়া কাদেরই বা আছে।''
জবা অর্থাৎ পল্লবী শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''প্রথমত চিত্রনাট্যে কী থাকবে তাতে অভিনেতাদের কোনও হাত থাকে না। যা বলে দেওয়া হয় সেটাই করে থাকি। দ্বিতীয়ত, যে বা যারা ট্রোল করছেন তারা দৃশ্যটা দেখেই করছেন ধরে নিচ্ছি। আর নেগেটিভ হোক বা পজিটিভ, পাবলিসিটি তো দুদিকেই।''
কিন্তু পল্লবী যাই বলুন, নেটিজেনদের কথায় চিত্রনাট্য পড়ে নিজের বিশ্বাসযোগ্য মনে না হলে সেটা দর্শককে কীভাবে বিশ্বাস করান অভিনেত্রীরা? একবার নিজেকে দর্শকের জায়গায় বসিয়ে দেখেন না যে তিনি কি এই দৃশ্যে হাসতেন না? তবে ধারাবাহিক নিয়ে ট্রোল কিন্তু প্রথমবার নয়। এর আগেও রানী রাসমণি, নেতাজি, বাবা লোকনাথের মতো ধারাবাহিকে ভুল তথ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়েছিল। ইতিহাস তো বিকৃত করা হচ্ছেই কিন্তু এই ধরনের দৃশ্য সমাজকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে বলেই অভিমত নেটিজেনদের।