Trina Saha, Bengali Television, Koler Bou: তৃণা সাহা বাংলা টেলিপর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের অন্য়তম। এই মুহূর্তে স্টার জলসা-র 'কলের বউ' ধারাবাহিকে তৃণার ডবল রোল-- এক টেঁপি ও আর একজন টেঁপির ক্লোন এক রোবট। সেই নিয়ে জমে উঠল কথোপকথন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে।
টেঁপি তোমার বেশি প্রিয় নাকি রোবট?
দুটো চরিত্র একদম আলাদা। দুটোই আমার প্রিয়। ওটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্য়াপার। একজনকে একদম আলাদা আলাদা রকম ভাবে দেখা। মানে টেঁপি যেমন বোকা, অশিক্ষিত, শুধুই খাচ্ছে... মিষ্টি ইনোসেন্ট একটা মেয়ে, কিচ্ছু জানে না, শুধু খেতে পেলে খুশি। আর একটা রোবট যে সব জানে। মানে একেবারেই নর্থ পোল আর সাউথ পোল।
'কলের বউ'-তে তৃণা সাহা। ছবি: তৃণার ফেসবুক পেজ থেকে
তোমার ফেভারিট এআই সিরিজ কী টেলিভিশনে?
আমার মনে আছে ছোটবেলায় 'স্মল ওয়ান্ডার' বলে একটা সিরিজ হতো টিভিতে। একটা বাচ্চা মেয়ে রোবট। ওইটা আমার এখনও মনে আছে খুব ভালভাবে।। একটা বাচ্চা মেয়ে রোবট। এআই নিয়ে তো অনেক সিনেমাই হয়েছে, হচ্ছে বা হবে কিন্তু এই কাজটা করতে গিয়ে অনেক বেশি করে স্মল ওয়ান্ডার-এর কথা মনে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সেদিন ‘শ্রাবন্তীদি’র কাছে যেতে দেয়নি! ৮ বছর পরে ইচ্ছাপূরণ সায়কের
পার্টনার রোবট হলে কেমন হতো?
না না, খুব একটা ভাল হতো তা নয়। কিছুটা ভাল হতো, আবার অনেকটাই ভাল হতো না। আমি তো খুব লেজি, সে কাজ-টাজ করে দিত। কিন্তু মানুষের জীবনের চাহিদাগুলো মেটাতে পারত না। আমি ওই পার্শিয়াল এগ্রিমেন্টে থাকতাম।
ধরো টেঁপির মতো যদি ক্লোন হতো মানে তোমার পার্টনার এবং তার ক্লোন, এমনি ভালবাসতে ইচ্ছে করবে তখন পার্টনার আসবে, যখন ঘরের কাজকর্ম করতে ইচ্ছে করবে তখন ক্লোন আসবে...
সেটা যে কতটা ডিফিকাল্ট হতো! এই সিরিয়ালটা করার সময় আমার মাথায় এটাই এসেছে যে যদি রিয়েল লাইফে এটা কারো সঙ্গে হয় তবে সেটা কীরকম হবে। ইমাজিন করে দেখলাম যে... নাহ্, এটা রিয়েল লাইফে হওয়া একেবারেই উচিত না। এটাই তোমরা দেখবে যে রোহন কতটা ডিফিকাল্টি ফেস করেছে ক্লোনকে নিয়ে আর আসলকে নিয়ে। একটা হচ্ছে ডাহা বোকা আর একটা হচ্ছে সব জানে। দুটোকে নিয়ে যে ও কী ফেস করতে চলেছে, সেটা দেখলে দর্শক ভাববেন যে না, এরকম না হওয়াই ভাল। মাঝে মাঝে ভাববে যে রোবট ভাল আর মাঝে মাঝে ভাববে যে না হলেই ভাল!
'কলের বউ'-তে তৃণা সাহা। ছবি: তৃণার ফেসবুক পেজ থেকে
তার মানে বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে যে শেষমেশ টেঁপিই ভাল! রোহনের সঙ্গে তো প্রথম কাজ। কেমন লাগছে?
রোহন সব সময়েই ভাল বন্ধু ছিল। বন্ধুর সঙ্গে কাজ করার একটা পজিটিভ দিক সব সময়েই আছে। খুব মজা করে কাজ করা যায়, একটা কমফর্ট লেভেল তৈরি হয়ে যায় কাজ করতে গিয়ে। রোহনের একটা কষ্ট আছে। ধরো ওর শট হয়ে গেল টেঁপির সঙ্গ, তা হলেও কিন্তু ছুটি নেই কারণ রোবটের সঙ্গে শটেও ওকে থাকতে হবে। মানে ডবল রোল না হলেও ওকে ডবল টাইম থাকতে হচ্ছে। ওটা কিন্তু অদ্ভুত একটা কষ্ট। কোঅ্য়াক্টর হিসেবে বলব, প্রথমত ও বন্ধু আর বন্ধু যখন কোঅ্য়াক্টর হয়, তখন সেটা একটা প্লাস পয়েন্ট। আর হি ইজ আ গুড কো অ্য়াক্টর।
আরও পড়ুন: শুরুতেই সৌদামিনীর সিক্সার, তৃতীয় স্থানে ‘বকুলকথা’
এর মধ্য়ে দাদার (প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী) বকুনি খেয়েছ?
আমি রোজ বকুনি খাই বা ধরো সপ্তাহে সপ্তাহে খাই। যদি দেখি যে দাদা বকছে না, তখন বুঝতে হবে যে কিছু প্রবলেম আছে। বকলে নর্মাল। যখন দেখছি বকছে না বা কিছুই বলছে না, তার মানে কিছু একটা প্রবলেম আছে। তার মানে আমি ভুল করেছি!