শুটিং হবে না কিন্তু চ্যানেল তো আর বন্ধ থাকবে না। ধারাবাহিকের স্লটগুলিও উবে যাবে না রাতারাতি। অর্থাৎ সব ধারাবাহিকেরই আগামী ১২ দিনের ব্যাঙ্কিং চাই। করোনা হানার জেরে শুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে ১৭ মার্চ। যাতে ধারাবাহিকের সম্প্রচার ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তাই ১৭ মার্চ সারা রাত কাজ চলল কলকাতার টেলিপাড়ায়। অতিরিক্ত
এমন পরিস্থিতির মুখে এর আগে কখনও পড়েনি বাংলার টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। কোনও অসন্তোষ বা বিক্ষোভ নয়, মেডিকেল এমার্জেন্সিতে বন্ধ থাকছে শুটিং এবং তাও টানা ১২ দিন। বারো দিন পরে অর্থাৎ ৩০ মার্চ আবার একটি বৈঠক হবে। ওই সময়ে দেশে করোনা পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে আরও কিছুদিন শুটিং বন্ধ রাখতে হবে কি না।
আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতায় বন্ধ টালিগঞ্জের সমস্ত শুটিং
ডেইলি সোপ বিষয়টিই এসেছে নব্বইয়ের শেষ থেকে। আর তখন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টানা সব কটি স্লটে ধারাবাহিকের সম্প্রচার হতো না। বিগত দশ-বারো বছরেই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সিরিয়ালের ফ্রেশ এপিসোডের সম্প্রচার দেখার অভ্যাস শুরু হয়েছে দর্শকের। যে সব ধারাবাহিক সপ্তাহে সাতদিন সম্প্রচার হয়, সেই সব ইউনিটে তাই সারা বছরই এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের চাপ থাকে।
করোনা সতর্কতায় টালিগঞ্জের সমস্ত শুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশিকায় তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এখন টেলিজগত। টানা ১২ দিনের এপিসোডের ব্যাঙ্কিং সাধারণত থাকে না। তাই মঙ্গলবার ১৭ মার্চ শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষণার পরে ওইদিন সারা রাত ধরে চলল শুটিং প্রায় সব ইউনিটেই।
আরও পড়ুন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে সৃজিত-প্রসেনজিৎ
অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ১৮ মার্চ ভোরে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাঁদের রাতভর শুটিংয়ের ছবি। কোথাও কোথাও আলো ফুটে যাওয়ার পরেও চলেছে শুটিং। তবে নির্দেশিকা মতে, ১৮ মার্চ সকাল থেকে অর্থাৎ মোটামুটি ধারাবাহিকের গড়পরতা শিফট টাইম যদি ধরা যায় তবে সকাল ৮টা থেকেই বন্ধ থাকছে শুটিং। রাতভর শুটিংয়ের পরে এবার নতুন চ্যালেঞ্জ বিনোদন চ্যানেলগুলির। কারণ আগামী ১০-১২ দিনের এপিসোডগুলি এডিট করে তৈরি করতে হবে, হাতে শুটিংয়ের যা ব্যাঙ্কিং রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই।
স্টার জলসা, কালারস বাংলা-সহ বিনোদন চ্যানেলগুলির অফিসেও জারি হয়েছে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'। শুধুমাত্র ফাংশনস ডিপার্টমেন্ট ছাড়াই বাকি সব ডিপার্টমেন্টের কর্মীরাই বাড়ি থেকে কাজ করবেন পরবর্তী নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন