Best Bollywood of the Decade: বলিউডের বছরসেরা ছবির তালিকা তো করাই যায়। কিন্তু ২০১৯ যেমন শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বরের রাতে। তেমনই তার সঙ্গে সঙ্গে অবসান হবে একটা দশকের যা শুরু হয়েছিল ২০১০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে। এই এক দশকে বলিউডে এমন অনেক ছবি এসেছে যা শুধু ভাল ছবি নয়, পাশাপাশি পাথব্রেকিংও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা বেছে নিয়েছেন তেমনই দশকসেরা কয়েকটি ছবি।
ছবির তালিকায় যাওয়ার আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দশকটি সবচেয়ে ভাল গিয়েছে কোন কোন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। যদি অভিনেতাদের ধরা যায় তবে প্রথমদিকে থাকবেন আয়ুষ্মান খুরানা, ভিকি কৌশল ও রণবীর সিং এবং অবশ্যই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও সুশান্ত সিং রাজপুত-- যাঁদের কেরিয়ার গড়ে দিয়েছে বিদায়ী দশক।
আরও পড়ুন: বাংলা ওয়েবে সেরা ৭টি কাজ ২০১৯
আর অভিনেত্রীদের মধ্যে দশকের সেরা আবিষ্কার অবশ্যই আলিয়া ভাট এবং তাপসী পন্নু। এবং অবশ্যই আবারও অমিতাভ বচ্চন ভার্সন (২০১০-২০১৯) কারণ প্রত্যেক দশকেই তাঁর একটি নতুন ভার্সন দেখতে পান দর্শক। শুভ্রা গুপ্তার পছন্দের দশকসেরা ছবির তালিকায় রয়েছে এই ছবিগুলি-
২০১০
'ব্যান্ড বাজা বারাত'। এই ছবি দিয়েই নতুন করে যাত্রা শুরু হয় অনুষ্কা শর্মার এবং বলিউড পায় অন্যতম সেরা অভিনেতাকে-- রণবীর সিং। 'উড়ান' হল বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে-র প্রথম ছবি। এই ছবিটিকে শুভ্রা গুপ্তা বলেছেন বলিউডের প্রথম সত্যিকারের কামিং-অফ-এজ সিনেমা। আর ওই বছরই মুক্তিপ্রাপ্ত 'লাভ সেক্স অউর ধোঁকা' হল সেই ছবি যা দশকের শুরুতেই সোশাল মিডিয়া ও প্রাইভেসি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, যে প্রশ্নের উত্তর আমরা এখনও দিয়ে চলেছি।
২০১২
এই বছরটি হিন্দি ছবির জগতে একটা টার্নিং পয়েন্ট। নতুন একটি যুগের সূচনা করেছিল তিনটি ছবি-- 'ভিকি ডোনর', 'পান সিং তোমর' ও 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' (পার্ট ওয়ান অ্যান্ড টু)। প্রথমটি আদ্যন্ত বাণিজ্যিক ছবিতে নতুন একটি মডেল নিয়ে আসে। আর বাকি দুটি ছবি দেখিয়ে দেয় যে এমন ছবিরও প্রয়োজন আছে এবং সেই ছবি দর্শকও মাথায় করে রাখে।
২০১৩
এই বছরে বিগত বছরের ছবিগুলির একটা রেশ যেন বজায় রাখে 'শিপ অফ থেসাস' ও 'দ্য লাঞ্চবক্স'। গড়পরতা বলিউড ছবিতে সাইলেন্সের যে অভাব থাকে, তা যেন পূরণ করে এই দুটি ছবি।
২০১৪
পেট্রিয়ার্কির আসল চেহারাটা দেখিয়েছেন কানু বেহল তাঁর ডেবিউ ছবি 'তিতলি'-তে, দর্শককে স্বস্তি দেওয়ার জন্য যা তৈরি হয়নি। তার থেকে একেবারেই উল্টোপিঠের ছবি 'কুইন' যাকে রাখতেই হবে বছরসেরার তালিকায় কারণ বাণিজ্যিক ছবি হয়েও ছক ভাঙে এই ছবি যা সাধারণ দর্শকের কাছে দুর্বোধ্য হয় না। তবে এই দশকের বলিউডের সবচেয়ে অস্বাভাবিক ছবি হল 'আঁখো দেখি'। বলিউডে এই জঁরের ছবি বিরল।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত টলিউড, ২০১৯-এ ফিরে দেখা টলিপাড়ার উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলি
২০১৫
'মাসান' হল সেই ছবি যা সম্ভবত বলিউডের সর্বকালের সেরা ছবিগুলির তালিকায় জায়গা করে নেবে। ওই বছরই মুক্তি পায় 'দম লাগা কে হাইসা'। বাণিজ্যিক ছবি কিন্তু চেনা ছকের বাইরের ছবি যা দর্শক টানতেও সফল হয়েছিল।
২০১৬
একজন নারী যখন বলে না, তখন সেটা না। সে নারী একজন যৌনকর্মী হলেও সেটাই শেষ কথা। হিন্দি ছবিতে এত শান্তভাবে, এত জোরালোভাবে এই কথাটি বোধহয় বলা হয়নি আর কোনও ছবিতে। 'পিঙ্ক' তাই থাকবে বছরসেরা তালিকায়।
২০১৭
চারটি সেরা ছবি উপহার দিয়েছে এই বছরটি। 'আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ', 'আনারকলি অফ আরা', 'নিউটন' ও 'লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা'। এর মধ্যে 'নিউটন'-ই উল্লেখযোগ্য বক্স অফিস কালেকশন করতে পেরেছে। বাকি ছবিগুলির ব্যবসা হয় নামমাত্র বা হয়নি এবং সেই নিয়ে মাথাও ঘামায়নি। ছবিগুলি প্রয়োজনীয় ছিল।
২০১৮
দশকের অন্যতম সেরা ছবি টুমবাদ ভারতীয় ছবিতে একটি নতুন আঙ্গিকের জন্ম দেয়। মেক্সিকান পরিচালক দেল তোরো-র যে আঙ্গিক তার যথার্থ ভারতীয়করণ হয়েছিল 'টুমবাদ'-এ। অথচ ছবিতে একফোঁটাও বিদেশি বাতাস নেই। পুরোটাই মাটি থেকে উঠে আসা। ওই বছরই মুক্তি পায় 'মুক্তি ভবন' যা টুমবাদ-এর বিপরীত মেরু, একখণ্ড বাস্তব যা অবিশ্বাস্য মনে হয় অনেকের কাছেই। আর সাম্প্রতিক সময়ের জ্বলন্ত বাস্তব হল 'মুলক'।
২০১৯
দশকের শেষ বছরটিতে দুটি ছবি যা বাণিজ্যিক সাফল্যও এনেছে। পাশাপাশি ছকের মধ্যে থেকেই দর্শককে প্রয়োজনীয় চিন্তার রসদটুকু দিয়ে গিয়েছে-- 'গালি বয়' ও 'আর্টিকল ১৫'।
Read Shubhra Gupta's original article in English