/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/bharti1-2025-08-22-10-53-40.jpg)
কী এমন হয়েছিল তাঁর সঙ্গে?
Bharti Singh: ভারতী সিং সম্প্রতি নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সংগ্রামের কথা খোলাখুলিভাবে শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। ও পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতারণার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
রাজ শামানিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতী বলেন, কলেজ জীবনে তিনি ভালো স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের ধারণা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন। তার কথায়, "ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে, টিভিতে আসার আগে এসব ঘটনা ঘটত। কলেজে আমি কমেডি স্কিট করতাম, কিন্তু তখন এসব বুঝতাম না। এখনকার মতো আমাদের সময়ে বাচ্চাদের খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে শেখানো হতো না। আমি এক বন্ধুকে নিয়ে ভোর ৫টায় কলেজে যেতাম, তখন বাসে দুধ বিক্রেতাদের ভিড় থাকত। তারা ইচ্ছা করে ধাক্কা মারত, প্রথম দিকে বুঝতাম না যে এটা অনুচিত। একদিন কেউ আমাকে ধরে ফেলে, তখন বিষয়টা বুঝতে শুরু করি। আমাদের বাড়িতে মা-বোনদের মধ্যে এসব নিয়ে আলোচনা হতো না। তবে একবার বোঝার পর আমি দ্বিগুণ আকারের পুরুষদের থেকে নিজেকে বাঁচাতেও আঘাত করতাম এবং প্রয়োজনে থাপ্পড় মারতাম।"
তিনি আরও জানান, কপিল শর্মার সঙ্গে কাজ শুরু করলেন যখন, তখন একটি ঘটনার পর এই বিষয়গুলো নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। ভারতীর কথায়, "শো চলাকালীন কপিল লক্ষ্য করতেন, আয়োজকরা ছবি তোলার সময় আমার পিঠে বা কাঁধে হাত রাখত। একদিন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘হাত রাখতে দাও কেন?’ আমি বলতাম, ‘আঙ্কেল হবেন, হয়তো মেয়ের মতোই ভাবছেন।’ তখন কপিল ভাই বুঝিয়ে দেন, কেউ অযথা স্পর্শ করবে না ওকে, ছবি তুলতে হলে সোজা দাঁড়িয়ে তুলতে বলো। তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন, মহিলাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার সহ্য করা উচিত নয়।"
Actor Death News: চলচ্চিত্র ও টিভি জগতে নক্ষত্রপতন, কাঁদিয়ে চলে গেলেন অভিনেতা
ভারতী আরও স্বীকার করেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ভীষণ লাজুক ছিলেন এবং নিজের পাওনা টাকা চাইতেও সাহস পেতেন না। বলেন,"অনেকবার পারিশ্রমিক নিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। মাকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভ্রমণ করতাম, তারা বলত- ‘আপনি পারফর্ম করুন, পরে মাকে টাকা দিয়ে দেব।’ পরে মা বলতেন, টাকা দেয়নি। নানা অজুহাত দিত ওরা। বলত,‘স্ত্রী টাকা নিয়ে আসছে’ কিংবা ‘হোটেলে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ ফোন করতেও সাহস পেতাম না। যাদের এভাবে চিনতাম, তাদের নাম ফোনে ‘শো না করো’ নামে সেভ করতাম।" তার মতে, তখন পাশে শক্তভাবে দাঁড়ানোর মতো পুরুষ অভিভাবক না থাকায় অনেক সময় অসহায় বোধ করতেন।
বর্তমানে তিনি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। বিশেষ করে সন্তান হওয়ার পর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হয়েছেন। ভারতী বলেন, "এখন কেউ অশালীন ভিডিও তুললে আমি সরাসরি ফোন চাই। না দিলে বলি, ‘আমার সঙ্গে দেহরক্ষী আছে, তুমি কি চাও তোমার বোনকে এই ভিডিওটা দেখাই?’ ভক্তরা প্রায়ই বাড়িতে চলে আসে, কেউ গাল চিমটি কাটে, ভাবে আমি মজা করব। তাই এখন সব সময় বডিগার্ড রাখি। কারণ বাড়ি ব্যক্তিগত জায়গা, সন্তান হওয়ার পর ভয় আরও বেড়েছে। ভক্তদের আমি এখন অফিসে পাঠাই।"