থ্রিলার ও অরিন্দম শীল, ইদানীং এই দুটো যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে যখন লড়াইটা মাটির জন্য, ন্যায়ের জন্য তখন তো জমি শক্ত করতেই হয়। তবে এটা টলিপাড়ার কোনও নতুন বির্তকের আভাস নয়, নয়া চিত্রনাট্যের মারপ্যাঁচ। রূপক সাহা রচিত 'তরিতাপুরাণ' উপন্যাসকে সম্বল করেই 'ভূমিকন্যা'র গল্প বলবেন অরিন্দম শীল। আর এই জার্নিতে সঙ্গী সোহিনী সরকার, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, চিরঞ্জিতরা।
তবে অনন্তকাল ধরে চলার মতো করে এই সিরিজ তৈরি হচ্ছে না। টানটান রোমাঞ্চ বজায় রেখেই টেলিসিরিজ শেষ করবেন পরিচালক। সুন্দরগড় গ্রামের হর্তাকর্তা বিধাতা চন্দ্রভানু বেপরোয়া, বেলাগাম। তাঁর অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই সময়েই গ্রামের ত্রাতা হিসাবে আগমন ঘটে তরিতার। কিন্তু মহেশ্বর বারবার সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিল চন্দ্রভানুর উদ্দেশে। সেকথা অগ্রাহ্য করলে কী পরিণতি হয় তা-ই দেখা যাবে ভূমিকন্যায়। চন্দ্রভানুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন কৌশিক সেন। আর মুখ্য চরিত্র তরিতার ভূমিকায় থাকছেন সোহিনী সরকার। সিরিজের প্রধান পুরুষ চরিত্র 'অঙ্কুশ' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবে মহেশ্বর চরিত্রকে এযুগের মানানসই করে তুলেছেন পরিচালক। সেই চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন চিরঞ্জিৎ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে পরিচালক অরিন্দম শীল জানান, ''আমার অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে বাংলা টেলিভিশনের মাধ্যমেই। 'ভূমিকন্যা' দিয়েই সেই মাধ্যমকে কিছু ফেরৎ দেওয়ার চেষ্টা। স্টার জলসা আমার ছবি তৈরির ধরন দেখে এই টেলিসিরিজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। সে জন্য আমি খুবই খুশি। আশা করছি এই সিরিজ ছোটপর্দায় সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে পুনরুজ্জীবিত করবে''।
আরও পড়ুন, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেলেন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গী চিত্রগ্রাহক
সোহিনী সরকার বললেন, ''এটা সীমিত এপিসোডের সিরিজ বলেই রাজি হয়েছি। যার জন্য সাত-আটমাসের বেশি সময় দিতে হবে না। আর অরিন্দমদা র পরিচালনা একটি কারণ। শুটিং পুরোটাই আউটডোরে, তার ওপর এরকম একটা চরিত্র। প্রচুর অ্যাকশন, থ্রিল রয়েছে সিরিজটায়। সিনেমাতেও সমসময়ে এরকম চরিত্র পাই না''।
প্রসঙ্গত, ছোটপর্দা দিয়েই রূপোলি পর্দায় চলা শুরু করেছিলেন সোহিনী সরকার। আবারও ফিরছেন সেই মাধ্যমেই। ভাঙছেন চেনা ব্যাকরণ। জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয়েছে ভূমিকন্যার শুটিং। আগামী ৩০ জুলাই ছোটপর্দায় আসছে ২০০ এপিসোডের এই সিরিজ।