তাঁর 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। তবে, বিতর্কের ঢেউয়ে যে তাঁর চিরজাগ্রত বিবেক শান্ত হবে না, কলকাতায় বোঝালেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। কাশ্মীর ফাইলস-এর অভিনেতা অনুপম খেরকে নিয়ে রবিবারই জাদুঘরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন বিবেক। আর, তারপরই ফাঁস করলেন পরিকল্পনা 'বেঙ্গল ফাইলস'-এর কথা।
সাম্প্রদায়িক হানাহানি যেমন কাশ্মীরে পণ্ডিত নিধনের ইস্যুকে সামনে রেখে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এ তুলে ধরেছেন। বিবেকের 'বেঙ্গল ফাইলস'-এরও তেমনই বিষয়বস্তু সাম্প্রদায়িক হানাহানিই। স্পষ্ট বললে, 'দ্য গ্রেটার ক্যালকাটা কিলিং' বা ৪৬-এর দাঙ্গা। সাম্প্রতিক অতীতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মত বিজেপি নেতারা বাংলা সফরে এসে এরাজ্যের দশা কাশ্মীরের মত হবে বলে বারবার ভয় দেখিয়েছেন। সেই সুরেই মুম্বইয়ের পরিচালক বললেন, 'বাংলা কাশ্মীরে বদলে যাওয়ার আগেই কাজটা শেষ করে ফেলতে হবে।'
তবে, বাংলার ফাইল খুললেও ছবির নাম 'বেঙ্গল ফাইলস' রাখছেন না বিবেক। নাম দিচ্ছেন 'দিল্লি ফাইলস'। তাঁর, এমন আজব সিদ্ধান্তের সাফাইও দিয়েছেন এই পরিচালক। তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় ১৯৪৬-এ যা হয়েছিল, তার নিয়ন্ত্রণ ছিল দিল্লির হাতে। সেই জন্যই দিল্লি থাকবে শিরোনামে। ছবিতে বাংলা আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে, সবটাই তিনি নিজের মত করে দেখাতে চান। রীতিমতো লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন তাঁর এই বাংলামুখী সিনেমার পরিকল্পনা।
কার্যত এমনটাই বুঝিয়ে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন, ২০২৪-এর ১৫ আগস্ট তিনি ছবি মুক্তির পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু, তার ঠিক আগেই তো লোকসভা ভোট হয়ে যাবে। বিবেক অগ্নিহোত্রী কি তাহলে, ছবির ট্রেলার বেশ কিছুদিন আগে বাজারে ছেড়ে ভোটের পারদের হেরফের ঘটানোর তাল কষছেন? এসব গোপন বিষয় যথারীতি ফাঁস করেননি পরিচালক। শুধু বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এরাজ্যে সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে সবসময় চেপে রাখার চেষ্টা হয়। কিছুতেই ফাঁস করতে দেওয়া হয় না।
তাঁর কথায়, '৪৬-এর দাঙ্গা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আমার টিম এসেছিল সাক্ষাৎকার নিতে। তাঁদেরও কাজ করতে দেওয়া হয়নি।' এসব কবের ঘটনা? তাঁর পাকাধানে মইটাই বা কারা দিল? সেসব নিয়ে উচ্চবাচ্য না-করে সদাজাগ্রত বিবেকের মতই অগ্নিহোত্রীর ঘোষণা, 'কোনও শক্তিই আমাকে এই ছবি বানানো থেকে রুখতে পারবে না।'