পল্লবী দে'র মৃত্যুর খবর শুনে ফেসবুকে শোকপ্রকাশ করেছিলেন বিদিশা দে মজুমদার। পোস্টে লিখেছিলেন, "মেনে নিতে পারলাম না।" আর তার দিন দশেকের মাথাতেই কিনা সেই একই পরিণতি তাঁর নিজের! বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন বলে পল্লবীর মৃত্যুর পর মা বিদিশাকে ফোন করে চিন্তাপ্রকাশ করেছিলেন। হাজার হলেও সন্তান দূরে থাকায় মা-বাবার এমন চিন্তা অস্বাভাবিক নয়। পাল্টা বিদিশা নিজেই সান্ত্বনা দিয়ে মাকে বারণ করেছিলেন চিন্তা করতে। সেই মেয়ে কীভাবে দিন দশেকের মাথায় এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে? প্রশ্ন তুলে মেয়ের 'রহস্যমৃত্যু' কিছুতেই মানতে পারছেন না কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা বিদিশার মা।
১৫ মে, টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে'র রহস্যমৃত্যু নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় টলিপাড়ায়। গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। অভিনেত্রীর মা-বাবার অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও হন তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। পল্লবীর মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ২৫ মে, বৃহস্পতিবার আরেক মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার তাঁর ফ্ল্যাট থেকে। গ্ল্যামারের হাতছানি। ফের ঝকঝকে, চাকচিক্য জীবনযাপনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার মনোজগতের উদাহরণ। পল্লবীর মতো একইভাবেই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ।
<আরও পড়ুন: সাবার কোমর জড়িয়ে হৃতিক, করণ জোহরের জন্মদিনের পার্টিতে ‘খুল্লামখুল্লা প্রেম’ জুটির>
গত সোমবারই কাঁকিনাড়ার বাড়ি থেকে ফ্ল্যাটে ফেরেন। আর তার দিন তিনেকের মাথাতেই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না পরিবারের। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বিদিশা দে মজুমদারের মা। মডেল-অভিনেত্রীর মা নিজেই জানিয়েছেন যে, পল্লবীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই তিনি বিদিশার জন্য চিন্তাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মেয়েই নাকি তাঁকে বারণ করে দেন এসব চিন্তাভাবনা করতে। তারপরেও এমন ঘটনা!
বৃহস্পতিবার দমদমের ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার সুইসাইড নোট উদ্ধার হলেও তাঁর মা এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, বিদিশা সাদামাটা মেয়ে ছিল। কোনওদিন কারও সঙ্গে ঝামেলার কথাও শোনা যায়নি। দিন কয়েক আগেও একটা প্রজেক্টের জন্য অডিশন দিয়ে এসেছিল। বাবার সঙ্গে শেয়ার করত সব কথা। এদিকে বিদিশার সুইসাইড নোটে লেখা- এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলাম।” এবিপি আনন্দ'র কাছেই একথা জানান তিনি। তাহলে কি বাড়ির লোকের কাছ থেকে কিছু লুকিয়ে গিয়েছিলেন বিদিশা দে মজুমদার? উঠছে এমন অনেক প্রশ্ন।
যদিও তাঁর বন্ধুদের দাবি, বিদিশা এক জিম ট্রেনারের প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রেম ছিল একতরফা। অনেকসময়েই সেই ছেলেটির কথা মনে করে বন্ধুদের কাছে কান্নাকাটি করতেন। পল্লবী দের মৃত্যুর পরও সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা উঠে এসেছে তাঁর ঘনিষ্ঠদের মুখে। সম্পর্কের অবসাদ থেকেই কি এমন পরিণতি?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন