জসলীনের সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক সম্পর্ক, শারীরিক নয়: অনুপ জলোটা

অনুপ জলোটা ও জসলীন মাথারু বিগ বস ১২-র অন্যতম চিত্তাকর্ষক জুটি ছিলো যে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এই জুটিই আলাদা হয়ে গেল রবিবার রাতে সলমন খান অনুপ জলোটাকে বিগ বস থেকে বের করে দেওয়ার পর। অনুপের সঙ্গে এদিন ঘর থেকে আউট হলেন সাবা খান। ঘর থেকে বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুপ কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমের সঙ্গে। তিনি কথা বললেন ঘরে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং জসলীন মাথারুর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে।

হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ''আসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমার স্বাস্থ্যও ভাল হয়ে গেল। মনে পড়ছে না শেষ কবে আট ঘন্টা ঘুমিয়েছিলাম। এখানে ৬ সপ্তাহে আমি ভালো খেয়েছি, ঘুমিয়েছি, ওয়ার্কআউট করেছি, আমার চার কিলো ওজনও কমে গেছে। আর বেশিদিন থাকলে সলমনের বদলে আমিই মনে হয় হোস্ট হয়ে যেতাম''।

সোশাল মিডিয়ায় জল্পনা ছিল বিগ বসের সঙ্গে অনুপের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই নাকি বিগ বসে গিয়েছিলেন তিনি। কনসার্টে ফিরতে হত গায়ককে। একথা শুনে অনুপের বক্তব্য, ''আমার বাড়িতে ডিনারের যারা আসতে চান প্রত্যেককে স্বাগত, কারণ আগামী দশ দিন আমি কোথাও যাচ্ছিনা। সবার যা ছিল আমারও একই ১০৫ দিনের চুক্তিই হয়েছিল। এসব খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন''।

আরও পড়ুন, দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টারের শুটিং শেষ করলেন অনুপম খের

সুরভি ও শ্রীসন্থকে নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন অনুপ জলোটা। তিনি বলেন, ''সুরভি আর শ্রীকে আউট হাউজে লক করে দেওয়া উচিৎ। তাহলে একে অপরকে ওরা শান্ত করতে পারবে। রক্তের টিকা লাগিয়ে যে কর্মকান্ড সুরভি করেছিলেন তা যেমন ভয়ানক তেমনই দীপিকা কাকরের সঙ্গে শ্রী যা করল তা খেলাটাকেই নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা যখন সিক্রেট রুন থেকে ফিরলাম, তখন ঠিক করেছিলাম যে খেলাটা স্মার্টলি খেলব। কিন্তু শ্রীসান্থের কাণ্ডকারখানা গোটা প্ল্যানটাই ভেস্তে দিয়েছে।’’

তিনি আরও জানান, ''অন্যদিকে সুরভি, দীপিকা এমনকি দীপকও নোংরা খেলা খেলছে। ওদের বিশ্বাসই করা যায়না, যেকোনও সময় ওরা খেলা বদলে দেবে''।

আর অনুপের লেডি লাভ জসলীনের দিকে কথা আসতেই, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তাঁদের মধ্যে প্রেম নেই। তিনি বলেন, ''আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই আধ্যাত্মিক, শারীরিক নয়। এই শোয়ের বাইরে দুএকবার আমাদের অন্যর বাড়িতে দেখা হয়েছে এবং একে অন্যর সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমাদের মধ্যেকার বাঁধন আরও শক্ত হয়েছে। আমার আশা এই বন্ধন সারা জীবনের জন্য টিঁকে যাবে।’’

Read the full story in English