Bigg Boss 18-Hema Sharma: বিগ বস থেকে বেরিয়ে জীবন নাকি অনেকটাই সুখকর হয়। পরিচিতি পান সকলে। কাজের অসুবিধা হয় না? সেসব তথ্যই ভুল প্রমাণ করলেন বিগ বস ১৮ এর এক সদস্য হেমা শর্মা। তিনি, সর্বপ্রথম প্রতিযোগী যিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। তারপরই...
শুরু হয় চর্চা। তাঁর স্বামীর তরফে ওঠা ভয়ঙ্কর সব অভিযোগে মুষড়ে পড়েন হেমা। সম্প্রতি তিনি সেই সব নিয়েই মুখ খুলেছেন। শোয়ে উপস্থিত হলেও তাঁর জীবনের কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি আর্থিক অনটনের মুখে পড়ে যত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁকে। হেমা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন...
বিগ বসে যখন তিন সুযোগ পান তখন তাঁর পকেট গড়ের মাঠ। ৫০ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়েই তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে সন্তানদের একলা রেখে যাওয়ার দুঃখও ছিল মারাত্মক। কিন্তু, ভেবেছিলেন জীবনে হয়তো বা ভাল কিছু ঘটতে চলেছে। এবার অভিনেত্রী বললেন তাঁর আর্থিক অনটন নিয়ে। তাঁর কথায়...
সোশ্যাল মিডিয়ায় এত এফোর্ট দেওয়ার পরেও হাতে গুণে মাসে আসছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সেই টাকায় মাত্র জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মিটছে। এবং কাজের সুযোগ খুঁজছেন। স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছেন তিনি। সে কারণে নিজের খরচ নিজেকে চালাতে হয় তাঁকে। সন্তানদের খরচ সবটাই তাঁকে দেখতে হয়। তাঁদের খাবারদাবার থেকে পড়াশোনার বিল এবং বাড়ির খরচ সবটাই নিজে সামলান।
স্বামীর থেকে কোনও সাহায্য পান? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মাত্র ৩৫০০০ টাকা পাঠান। আর কোনও সাহায্য করেন না। কিন্তু তাঁর পয়সা তুলে খোঁটা দেন। অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর সংসার চলছে, সেটা কাউকে বলে বোঝাতে পারছেন না। হেমা বলেছিলেন....
"আমার এতটাও পয়সা নেই যে আমি একটা শাড়ি কিনব। আমার শুধু অল্প কয়েকটা নাইট গাউন কেনার ক্ষমতা আছে। শোয়ের আগে ১০০০ টাকা দামের কয়েকটা গাউন কিনেছিলাম। তাও সেটার একটা প্রথমদিন ছিঁড়ে গিয়েছিল। প্রথম ১২ দিন আমি যে কীভাবে কাটিয়েছি। আমি তারপর যখন সারাকে বললাম যে আমার পোশাক নেই বেশি। ও আমায় তখন জামা দিল। সবাইকে যখন দেখতাম, প্রতিদিন পোশাক পাল্টাত, আমার খুব খারাপ লাগত। আমার কিছু করার ছিল না, পোশাক রিপিট করতে হত।"
অভিনেত্রী তাঁর স্বামীর রূঢ় কান্ডকীর্তি নিয়েও বলেছেন। গৌরব তাঁর জনপ্রিয়তা কে হাতিয়ার করেই নাকি অনেককিছু করতে চেয়েছিলেন। এবং বর্তমানে তাঁকে বাড়িভাড়া বাবদ যে ৩৫,০০০ টাকা দিতেন, সেটাও বন্ধ করে দিয়েছেন। নিজের জীবন কিভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি বলেন...
"আমার আমার সব কানের দুল বেচে দিতে হয়েছে। মাত্র ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা পেয়েছি। সেটাও আমার রেন্ট থেকে ইলেকট্রিক বিল, সব মেটাতে খরচ হয়ে গিয়েছে। আমি এই নিয়ে প্রথমবার বলছি কারণ, আমি কাউকে আমার স্ট্রাগলের কথা জানাতে চাইনি।"