সোমবার বিহার সরকার ঘোষণা করেছে আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার থেকে বিহারে ট্যাক্স ফ্রি করে দেওয়া হবে হৃতিক রোশনের 'সুপার থার্টি'। পাটনার গণিতজ্ঞ-শিক্ষক আনন্দ কুমারের জীবনের উপর তৈরি বিকাশ বহলের এই ছবি। ১২ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে 'সুপার থার্টি'। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী এই ঘোষণা করেছেন।
কিছুদিন আগে পাটনায় সুশীল কুমার মোদী স্ত্রীয়ের সঙ্গে সুপার থার্টি দেখতে থিয়েটারে যান। বায়োপিক দেখার পরই বিনাশুল্কে ছবিটা দেখানোর কথা ভাবেন। প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে ‘সুপার থার্টি’। ট্রেড অ্যানালিস্টদের মত ছিল ভাল ব্যবসা করবে ‘সুপার থার্টি’।
আরও পড়ুন, সুপার থার্টি রিভিউ: ছাঁচ ভেঙে বেরোতে পারলেন কই হৃতিক?
এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা আয় করেছে এই বায়োপিক। তবে জন্মলগ্ন থেকে বিতর্ক জড়িয়ে রয়েছে এই ছবির সঙ্গে। প্রথমে, মিটুর অভিযোগ এসেছিল পরিচালক বিকাশ বহলের বিরুদ্ধে। শোনা গিয়েছিল, পরিচালককে সরতে হতে পারে এই ছবির পরিচালকের আসন থেকে। এরপরে ট্রেলার বেরোনোর পর হৃতিককে ট্রোলড হতে হয় তাঁর লুক নিয়ে। কেন গায়ের রঙ চেপে দেওয়া হয়েছে হৃতিকের। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সোশাল মিডিয়ায়।
সুপার থার্টির এই ছবির সমালোচনায় বলা যায়, কেবলমাত্র চিত্রনাট্য হিসেবে দেখলে হয়তো আপনার চোখে জলও আসতে পারে। তবে খটকা লাগবে যদি মনে হয়, এটা তো একজনের বায়োপিক, জীবন কাহিনী। সেই নিরিখে ‘সুপার থার্টি’ অতীব বেমানান। অতিনাটকীয়তা এ ছবির পরতে পরতে। প্রথমত, একজন দরিদ্র অঙ্কের মাস্টারের পেটানো চেহারা, ঝকঝকে দাঁত, গোলাপি মাড়ি, এদিকে গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ? আর যাই হোক, ময়লা কাপড় পরিয়ে আর মুখে দু’পোঁচ কালি লেপে দিয়ে হৃতিককে প্রধান চরিত্রে আনা যায় নি। দ্বিতীয়, তাঁর হাঁটাচলা, কথা বলা, সবকিছুই আগে বহুবার দেখেছে পাব্লিক। তথাকথিত ‘বোকা’, বা ‘সরল’ চরিত্র মানেই তো ‘কোই মিল গয়া’ নয়।