ছোট থেকে মেয়েটা শুনত গায়ের রঙ 'শ্যামলা'। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খানিক ছক ভেঙ্গে সেই মেয়েই পা বাড়াল গ্ল্যামার দুনিয়ায়। বলিউড তাঁকে আপন করেছে ঠিকই, তবে তাঁর নামের পাশে জুড়ে গেছে দুটি শন্দবন্ধ। 'ডাস্কি বিউটি'। তিনি জানেন, অভিনয় ক্ষমতা, স্ক্রিন প্রেসেন্সের চেয়ে অনেক বেশি আলোচিত থেকেছে তাঁর গায়ের রঙ। হ্যাঁ, বলছি বিপাশা বসুর কথা। শৈশবে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যেও তাঁকে নিয়ে চলত ফিসফাস। তাঁকে নিয়ে নয়, গায়ের রঙ নিয়ে। সম্প্রতি হিন্দুস্থান ইউনিলিভার তাঁদের এক পণ্য 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি' থেকে বাদ দিয়েছে 'ফেয়ার শব্দটি'। সংস্থার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন বিপাশা।
বিপাশা তাঁর ইন্সটাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করলেন, বিউটি কন্টেস্ট জেতার পর সমস্ত সংবাদমাধ্যম তাঁর গায়ে লাগিয়েছিল কলকাতা থেকে আসা 'শ্যামলা মেয়ে'র তকমা। প্যারিস অথবা নিউইয়র্কে অবশ্য চামড়ার এই রঙই তাঁকে দিয়েছিল বেশি বেশি কাজ, সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
রাজ অভিনেত্রী জানিয়েছেন যত দিন গড়াল, আমায় এখানকার দর্শক গ্রহণ করতে শুরু করল, কিন্তু তার পরেও আলোচনায় ওই গায়ের রঙ চলেই আসত" আমি বুঝতে পারতাম না কেন। আমার গায়ের রং এর জন্য আমায় আকর্ষণীয় বলা হত, তবে আমার বিশ্বাস ছিল ব্যক্তিত্বই একজন মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে সবচেয়ে বেশি। আমার গায়ের রঙ আমি ভালোবাসি, কোনোদিন এতটুকু বদলাতে চাইনি। কিন্তু গায়ের রঙ আমার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় বলে আমি কোনোদিন বিশ্বাস করিনি।
"বিগত ১৮ বছরে আমার কাছে একাধিক ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফার এসেছে, কিন্তু আমি আদর্শের সঙ্গে আপোষ করিনি। ফর্সা হলে, তবেই সুন্দর এই ধারণা বদলানো দরকার। দেশের অধিকাংশ মানুষের চামড়ার রঙ গাঢ়। হিন্দুস্থান ইউনিলিভার যে পদক্ষেপ নিল, তা অতুলনীয়। অন্য সংস্থারও শেখা দরকার"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন