রাজ্যজুড়ে যা অবস্থা, তাতে ঘুম উড়েছে বেশিরভাগ মেয়ের বাবা মায়েদের। রাস্তাঘাটে আজও মেয়েরা নিরাপত্তাহীন। যে হারে, স্বাধীনতার এত বছর পরও মেয়েরা এদেশে ধর্ষণ হচ্ছে, এতে চিন্তা হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত নয়।
আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছিল, যে বাড়ির পর যেখানে সব থেকে বেশি একজন মেয়ের সুরক্ষা থাকার কথা, নিজের কর্ম ক্ষেত্রে, সেখানে পর্যন্ত একটি মেয়ের সঙ্গে এহেন ঘৃণ্য আচরণ এবং নারকীয় অপরাধ। তাহলে মেয়েরা কোথায় যাবে? শেষ কিছুদিনের প্রশ্ন উঠেছে ইন্ডাস্ট্রির অন্তরে যৌন অসদ আচরণ নিয়ে। মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। তারপর তার দেখানো পথেই হাঁটলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।
মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির মত, টলিপাড়াতে ও যে এরকম মুখোশধরী মানুষ কম নেই, সে কথাই প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন তিনি। টলিউডের অন্দরে, পরিচালক এবং হিরোদের মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা মেয়েদের একদলা মাংস ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তাদেরকেও যে, নারীনিরাপত্তা থেকে সুরক্ষার বিচারের কারণে রাস্তায় নামতে দেখবেন, এ কথা কল্পনাও করেনি ঋতাভরী। আর এবার চারপাশে ঘুরে বেড়ানো বিকৃত মস্তিষ্কের হাত থেকে বাঁচার উপায় বললেন, বিরসা দাশগুপ্ত এবং বিদিপ্তা।
আরও পড়ুন - 'আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করবেন না...', মানুষ-কুকুরের তুলনা টেনেই সবকিছুর থেকে দূরে শ্রীলেখা?
কী লিখছেন তাঁরা?
দুই কন্যা সন্তানের বাবা মা তারা। ফলে ভয় যেন কুকড়ে রয়েছেন তারা। চারপাশে যা চলছে তাতে উদ্বিগ্ন বাবা মায়ের মন। রাস্তায় নেমেছিলেন প্রতিবাদ করতে কিন্তু এবার সমাজ মাধ্যমেও দুজনেই সতর্ক করে দিলেন। পরিবার কিংবা প্রতিবেশী কিংবা বন্ধুবান্ধব, সকলের থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে কথায় তারা পরিষ্কার জানালেন। তারা লিখছেন...
"কারওর প্রতি স্নেহ এবং বিকৃত মানসিকতার মতন তফাৎ রয়েছে। আপনার চারপাশে এরকম অনেক বিকৃত মানসিকতার মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের থেকে সাবধানে থাকুন। কোন রকম ভ্যাকসিন এই অসুখ কমাতে পারেনা। আমাদের দুটি মেয়ে রয়েছে বড়টি ২৪ বছরের এবং ছোটটি ১৩ বছরের। আমরা জানি চারপাশে ঠিক কী হচ্ছে। এবং আমরা জানি আপনারা কি নিয়ে কথা বলছেন।"
প্রতি বছর এসময় মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন, দুর্গোৎসবের। কিন্তু এবার মানুষ সস্তায় অপেক্ষা করছেন বিচারের। মেয়েদের সঙ্গে হওয়া অন্যায় এবং নারীর রক্ষার বিচারের। মা দুর্গা আসার আগে তারা এবার ন্যায় চান।