দীর্ঘদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলে কত ভালবাসাই না পাওয়া যায়। আর সবথেকে বড় পাওনা বোধহয় একটাই, যখন লিড আইকন, যাদের দেখে অভিনয়ে আসা, বড় হওয়া তারাই যদি একরাশ ভালবাসা দেন?
Advertisment
অন্তত, বিশ্বনাথ বসু নিজের কেরিয়ারে যতরকমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাতে তাঁকে বাহবা না দিলেই নয়। বিশ্বনাথ, একের পর এক অভিনয় করছেন দেবের ছবিতে। শেষ কাজ করলেন প্রধান ছবিতে। প্রায় ২৫ বছর। বিশ্বনাথ হাওড়া থেকে শুরু করেছিলেন যাত্রা। আর আজ ২৫ বছর হতেই তার মহাগুরু মিঠুনের কাছে থেকে যা বার্তা পেলেন তাতে চোখে জল তাঁর।
অভিনেতা সস্ত্রীক এসেছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। সেখানেই তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। মিঠুন তাঁর সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা শেয়ার করতেই, দাদাগিরির মঞ্চে সকলের মন বেশ ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। মহাগুরু বললেন...
"বিশ্বনাথ, মানে আমার আদরের পল্টু, ও আমার একজন বড় ফ্যান। আমার ছবি দেখার জন্য বাড়িতে মার খেয়েছে, পুলিশের হাতে মার খেয়েছে। তারপর, একদিন ভাবল মহাগুরুর সঙ্গে অভিনয় করব। এবং সেটা ও করেও দেখাল। আমি একদিন ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুই এরকম একটা দুটো সিন রয়েছে এমন চরিত্রে অভিনয় করিস কেন? আমায় তখন ও বলল, আমি কেন করি? এসব মানে রাখে না আমার কাছে। তোমার সঙ্গে থাকব, তোমার সঙ্গে অভিনয় করব। সন্ধ্যে হবে, তোমার গায়ে গা ঘষে চলে যাব। ব্যাস! আমার জীবন স্বার্থক।"
এখানেই শেষ না। মিঠুন আরও বলেন, "ও একজন অসাধারণ অভিনেতা। আমি জানি, ওকে যে চরিত্র দেওয়া হোক না কেন, ও ভাল অভিনয় করবেই। ২৫ বছর হল, বিরাট ব্যাপার। অভিনেতা তো অনেক হয়, কিন্তু আসল কথা কী বলত, তুই একজন দারুণ মানুষ। আর এটা সবাই হয় না।" মিঠুনের কথায় কেঁদে গেলেন বিশ্বনাথ। জীবনে, যত পুরস্কারই হোক না কেন, এগুলোই আসল পাওয়া। মঞ্চে দাঁড়িয়েই হাত জোড় করে প্রণাম জানান অভিনেতা।