টলিউডে শিল্পী, কলাকুশলী ও টেকনিশিয়ানদের পাশে থেকে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারী দিল নবগঠিত বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নকে সঙ্গী করে তারা ভাঙতে চায় টালিগঞ্জের "সিন্ডিকেট রাজ"। বিজেপি প্রভাবিত ওই সংগঠনের পাশে থাকার বার্তা দিতে মুম্বই থেকে উড়ে এসেছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পরিষদের পক্ষ থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে "একাধিপত্য" ভাঙতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হলো।
বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মুম্বই থেকে এসেছি কলাকুশলী, শিল্পীদের দুঃখের দিনে পাশে থাকতে। আমি রঙ্গমঞ্চে থিয়েটার করেছি। এখান থেকে অভিনয় শুরু করেছি। মুম্বইতে দীর্ঘ দিন অভিনয় করেছি। এতদিন কাজ করেছি, কিন্তু এখনকার ঘটনা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। দলবদ্ধ হয়ে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।" উল্লেখ্য, বিশ্বজিতের পুত্র প্রসেনজিৎ আর্টিস্টস ফোরামের পক্ষ থেকে শিল্পী ও কলাকুশলীদের বকেয়া টাকা মেটানোর বিষয়টির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।
কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে টলিপাড়ায়। শাসকদলের সমর্থক না হলে তিনি কোনও কাজ পাবেন না, এ ঘটনা এখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ ওঠে। এদিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পান্ডা হুঁশিয়ারি দেন, "ভারতের বাইরে গিয়ে শুটিং করতে পারবেন কি?" তারপর একের পর এক প্রতিবাদের ধরন ঘোষণা করলেন তিনি। শঙ্কু বলেন, "দাবি আদায়ে ইম্পার সামনে লাগাতার অনশন করব। যারা সিন্ডিকেট চালাচ্ছে তাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় বসে ভাত খেয়ে প্রতিবাদ জানাব। সিনেমা হলের সামনে অবস্থান হবে। মুম্বই ও দিল্লিতে চ্যানেলের অফিসে দরবার করব।" তিনি প্রশাসনিক কর্তাদেরও সতর্ক করেছেন।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক টুলটুল রায় অভিযোগ করেন, "কোটি কোটি টাকা পাচ্ছেন না টেকনিশিয়ান ও কলাকুশলীরা। ছলনা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না। স্বরূপ বিশ্বাসরা প্রশ্রয় দিচ্ছেন যাতে টাকা দিতে না হয়।" যদিও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্বরূপ বিশ্বাস। সিন্ডিকেট রাজের কথা বলেছেন গায়ক পিলু ভট্টাচার্যও। "সিডি বা অ্যালবাম করলে সিন্ডিকেট বলে দেবে। এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। সিন্ডিকেট রাজ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করা হচ্ছে। তা রক্ষা করতে হবে।"