বেহালা (Behala) পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বাজি পায়েল সরকার (Paayel Sarakar)। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে শোভন-বৈশাখীর বিজেপি-ত্যাগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে শোরগোল হলেও, তা আপাতত অতীত। তারকা-সুলভ আচরণ পরিত্যাগ করে দিব্যি ঘরের মেয়ের মতোই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের প্রতিদ্বন্দ্বী পায়েল। তবে, শুধু ভোটপ্রার্থনাই নয়, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বদের সঙ্গে আলাপচারিতার পাশাপাশি বুধবার অভিনেত্রীকে দেখা গেল দেওয়াল ক্যানভাসে রং-তুলিতে পদ্ম ফোটাতে।
বেহালা পূর্বে এবার তিন নারী শক্তির লড়াই। পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী পায়েল সরকারের প্রতিপক্ষও দুই মহিলা প্রার্থী। তৃণমূলের 'তুরুপের তাস' যেখানে শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং সেখানে সংযুক্ত মোর্চার ভরসার পাত্রী বাম শিবিরের শমিতা হর চৌধুরী। তিনজনই ভোট প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আসল লড়াইটা ঘাসফুলের রত্না বনাম পদ্মের পায়েলের। এক্ষেত্রে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীকে বিশেষ ফ্যাক্টর হিসেবে দেখছেন না তাঁরা। ওদিকে শোভন-জায়া রত্না স্থানীয়। তবে বেহালার সঙ্গে পায়েলের যোগসূত্র থাকলেও তিনি এখনও ততটা সরগড় নন কেন্দ্র নিয়ে। অতঃপর সেই প্রেক্ষিতে রত্না-পায়েলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে অবশ্যম্ভাবী, তা হলফ করে বলাই যায়। তবে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত পায়েল সরকার।
গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থীর কথায়, "ভোটে জিতলে অন্যান্যদের মতো উধাও হয়ে যাব না! মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করব।" তাই ভোটের মুখে একমুহূর্ত সময় নষ্ট করতে নারাজ পায়েল। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ বেরিচয়ে পড়েছেন প্রচারে। রায় বাহাদুর রোডে দেওয়ার লিখনের পাশাপাশি ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন। এরপর রঞ্জন নগরের একটি পথসভায় স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। বড়দের থেকে আশীর্বাদ নিতেও দেখা যায় তাঁকে। ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের অভাব-অভিযোগ নিয়েও স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এককথায়, বেহালা পূর্বের আসন জিততে কোনওরকম খামতিই রাখতে চাইছেন না অভিনেত্রী পায়েল সরকার। তবে, স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিপরীতে ভোটবাক্সে তাঁর 'স্টার তকমা' কতটা প্রভাব ফেলবে? তা ২মের নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) মার্কশিটেই প্রকাশ পাবে।