সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ময়দানে না থাকলেও একুশের নির্বাচনী রণক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ পেয়েছেন পার্ণো মিত্র (Parno Mittra)। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ‘বিজেপির বাজি’ টলিউড অভিনেত্রী। তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের অন্দরেই চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও, সেসব এখন আপাতত অতীত! বুধবার থেকেই কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থী। তার আগে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছেন একুশে বাংলার জমিতে পদ্ম ফোটানোর লক্ষ্যে।
বৃহস্পতিবার ফের পার্ণো মিত্রকে দেখা গেল বরানগরের (Baranagar) স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরতে। এদিন অশোক গড়ের রেললাইন লাগোয়া এলাকায় প্রচার করেন তিনি। পরনে নীল সালোয়ার। গেরুয়া ওড়না। তারকা প্রার্থীকে দেখতে অনেকেই রাস্তার ধারে ভীড় জমিয়েছিলেন। করজোড়ে সবার কাছে ভোটপ্রার্থনা করতে দেখা যায় তাঁকে। প্রচারের মাঝে অভিনেত্রীর মন্তব্য, "আমি রূপোলি পর্দার মানুষ। মানুষ আমায় সেখানে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন, এবার সেই ভালোবাসাই কাজের মাধ্যমে আমি ফিরিয়ে দিতে চাই মানুষকে। ভোটের বাকি কাজ দলের কর্মকর্তারা সাংগঠনিকভাবে ঠিক করবেন, আমি শুধু মানুষের মন জয় করতে পারি।"
১৭ এপ্রিল ভোটবাক্সে ভাগ্যগণনা। প্রতিপক্ষও হেভিওয়েট। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে 'তৃণমূলের (TMC) তুরুপের তাস' তাপস রায় (Tapas Roy)। যিনি কিনা রাজ্য়ের পরিষদীয় মন্ত্রীও। কাজেই হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পার্ণো মিত্রর লড়াইটা যে মোটেই সহজ হবে না, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উপরন্তু সবুজ-গেরুয়া দুই শিবিরের অন্যান্য তারকা প্রার্থীদের তুলনায় খানিক দেরিতেই ভোটপ্রচার শুরু করেছেন পার্ণো। কাজেই ভোটবাক্সে তাঁর স্টার তকমা কোনও প্রভাব খাটাতে পারে কিনা? তার উত্তর মিলবে ২মের নির্বাচনী ফল প্রকাশের দিনই।
প্রসঙ্গত, পার্ণো মিত্র (Parno Mittra) গত লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হলেও তারপর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে কোনওদিনই সেভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনও দিনই পদ্মবাহিনীর হয়ে ঢাক পেটাননি তিনি। কিন্তু বরানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়ে গিয়েছেন, যা নিয়ে পদ্ম শিবিরের অন্দরেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ কাঞ্চনা মৈত্র, রিমঝিম মিত্র, সুমন থেকে শুরু করে টলিপাড়ার বেশ কিছু পরিচিত মুখ বিজেপির নানা কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে ময়দানে লড়ে বেড়ালেও টিকিট পাননি। তাই ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে অনেকের মনেই। কিন্তু সেসবে এখন কান দিতে নারাজ পার্ণো। কারণ, সম্মুখ সমরে ঘাসফুল শিবিরের হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে কঠিন লড়াই।