ভোটের রঙ্গমঞ্চে করোনা (Covid-19) কোন ছাড়! মাস্ক পরার বালাই নেই। সুরক্ষাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে ভোটের প্রচার। ওদিকে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আন্তর্জাতিক বেড়াজাল টপকে ভারতে তথা রাজ্যেও প্রবেশ করেছে। নিত্যদিন হু-হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্যবিদদের কপালে। কিন্তু তাতেও লোক-লস্কর নিয়ে নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) প্রচার আটকে নেই। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের এমন চরম পরিস্থিতিতেই মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) বিজেপিপ্রার্থী রাজশ্রী রাজবংশীর (Rajshree Rajbanshi) আজব দাবি, একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পর করোনা আর থাকে না!
মাস্ক-ছাড়াই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পদ্মপ্রার্থী রাজশ্রীর মন্তব্য, "দেখুন, এখানে কেউ করোনাতে আক্রান্ত হবে না। এতদিন থেকে প্রচার করছি, তখন করোনা হয়নি, তো এখনও হবে না!" এখানেই থামেননি তিনি। গেরুয়া শিবিরের তারকাপ্রার্থী নিদানও দিলেন কীভাবে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো যায়? বললেন, "করোনা আমাদের থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তবে আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, বাড়িতে গিয়ে গরম জলে স্নান করতে, শ্যাম্পু করতে, হাত ধুতে এবং জামা-কাপড়ও যেন ধুয়ে ফেলেন তাঁরা। আর গরমজলে গার্গল মাস্ট! তাতে কোনও সমস্যা হবে না।"
বিজেপির (BJP) তারকা প্রার্থীর মুখে এমন কথা শুনে রীতিমতো হাসির রোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন রাজশ্রী রাজবংশী। আর গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী টিকিট পেয়ে গিয়েছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরেও গুজগুজ ফিসফাস হয়েছে! আবার দিন কয়েক আগেই প্রচারে বেরিয়ে জনতার রোষানলে পড়তে হয়েছিল রাজশ্রীকে। টোটোয় চড়ে প্রচার করতে বেরিয়ে স্থানীয় মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, "পেট্রোল ১০০ টাকা, গ্যাসের দাম ৮৫০টাকা, আর ২টাকা কেজি চাল ফুটছে সাড়ে আটশো টাকার গ্যাসে, লজ্জা করে না?" সেই বিক্ষোভের ভিডিও নেটদুনিয়াতেও ভাইরাল হয়েছিল। স্থানীয়দের এমন অভব্য আচরণের জন্যে অবশ্য রাজ্যের শাসক দলের দিকেই তোপ দেগেছিলেন রাজশ্রী। তবে তাঁর দেওয়া 'করোনা নিদান' নিয়ে এখন শোরগোল শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরের অন্দরমহলে।
'নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় করোনা উবে যায়!', মাস্কহীন মুখে 'আজব দাবি' বিজেপিপ্রার্থী রাজশ্রীর
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের এমন চরম পরিস্থিতিতেই মধ্যমগ্রামের বিজেপিপ্রার্থী রাজশ্রী রাজবংশীর দেওয়া 'করোনা নিদান' নিয়ে এখন শোরগোল শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরের অন্দরমহলে।
Follow Us
ভোটের রঙ্গমঞ্চে করোনা (Covid-19) কোন ছাড়! মাস্ক পরার বালাই নেই। সুরক্ষাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে ভোটের প্রচার। ওদিকে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আন্তর্জাতিক বেড়াজাল টপকে ভারতে তথা রাজ্যেও প্রবেশ করেছে। নিত্যদিন হু-হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্যবিদদের কপালে। কিন্তু তাতেও লোক-লস্কর নিয়ে নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) প্রচার আটকে নেই। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের এমন চরম পরিস্থিতিতেই মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) বিজেপিপ্রার্থী রাজশ্রী রাজবংশীর (Rajshree Rajbanshi) আজব দাবি, একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পর করোনা আর থাকে না!
মাস্ক-ছাড়াই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পদ্মপ্রার্থী রাজশ্রীর মন্তব্য, "দেখুন, এখানে কেউ করোনাতে আক্রান্ত হবে না। এতদিন থেকে প্রচার করছি, তখন করোনা হয়নি, তো এখনও হবে না!" এখানেই থামেননি তিনি। গেরুয়া শিবিরের তারকাপ্রার্থী নিদানও দিলেন কীভাবে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো যায়? বললেন, "করোনা আমাদের থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তবে আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, বাড়িতে গিয়ে গরম জলে স্নান করতে, শ্যাম্পু করতে, হাত ধুতে এবং জামা-কাপড়ও যেন ধুয়ে ফেলেন তাঁরা। আর গরমজলে গার্গল মাস্ট! তাতে কোনও সমস্যা হবে না।"
বিজেপির (BJP) তারকা প্রার্থীর মুখে এমন কথা শুনে রীতিমতো হাসির রোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন রাজশ্রী রাজবংশী। আর গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী টিকিট পেয়ে গিয়েছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরেও গুজগুজ ফিসফাস হয়েছে! আবার দিন কয়েক আগেই প্রচারে বেরিয়ে জনতার রোষানলে পড়তে হয়েছিল রাজশ্রীকে। টোটোয় চড়ে প্রচার করতে বেরিয়ে স্থানীয় মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, "পেট্রোল ১০০ টাকা, গ্যাসের দাম ৮৫০টাকা, আর ২টাকা কেজি চাল ফুটছে সাড়ে আটশো টাকার গ্যাসে, লজ্জা করে না?" সেই বিক্ষোভের ভিডিও নেটদুনিয়াতেও ভাইরাল হয়েছিল। স্থানীয়দের এমন অভব্য আচরণের জন্যে অবশ্য রাজ্যের শাসক দলের দিকেই তোপ দেগেছিলেন রাজশ্রী। তবে তাঁর দেওয়া 'করোনা নিদান' নিয়ে এখন শোরগোল শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরের অন্দরমহলে।