বেহালা (Behala) পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের ক্লাব ক্লাবে টাকা দিয়ে দুষ্কৃতি পুষছে রাজ্যের শাসক দল, বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। তবে শুধু এমন অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত থাকেননি পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী। এই মর্মে তৃণমূলকে নিশানা করে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দিয়েছেন গত ২ এপ্রিল।
কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে শ্রাবন্তী লিখেছেন, "স্থানীয় ক্লাবগুলিকে এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করতে কাজে লাগানো হচ্ছে, এক্ষেত্রে তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ক্লাবগুলিতেই দুর্বৃত্তদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা ভোটের সময় গোলমাল পাকাতে পারে।"
আগামী ১০ এপ্রিল অর্থাৎ রাজ্যের চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ (West Bebngal Assembly Election 2021) হবে বেহালা পশ্চিমে। প্রতিপক্ষও হেভিওয়েট। তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা তথা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। অতঃপর প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পদ্ম শিবিরের নবাগতা তারকা প্রার্থী প্রচার ময়দানে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। প্রতিপক্ষ পার্থকে যদিও এখনও শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে কোনওরকম অভিযোগ তুলতে কিংবা কটু মন্তব্য করতে দেখা যায়নি, তবে ১০ তারিখ ভোটের মুখে শ্রাবন্তীর এমন বিস্ফোরক অভিযোগে বেজায় চটেছে রাজ্যের শাসকদল তথা বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের ক্লাব কর্তৃপক্ষরা। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) প্রার্থী শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
দেবদারু ফটক কিংবা বেহালা ক্লাব যদিও পদ্ম প্রার্থীক অভিযোগে আমল দিতে নারাজ এবং কোনওরকম মন্তব্যি তাঁরা করতে চাননি, তবে মুখ খুলেছেন অনেকেই। সাহাপুর ইউথ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাকেশ সিংহের কথায়, "ভোটের মুখে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই টাকা দিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতি পোষার মতো জঘন্য অভিযোগ তুলেছেন শ্রাবন্তী। বেহালার ক্লাবগুলি আমফান এবং লকডাউনের সময় যেভাবে দুস্থদের পরিষেবা দিয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে হয়তো বিজেপি প্রার্থীর বিশদে কোনও জ্ঞান-ই নেই! তাই অযথা ক্লাবগুলিতেও রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছেন উনি। অভিনেত্রী নিজেকে বেহালার ভূমিকন্যা বলে দাবি করছেন ঠিকই, অথচ বেহালা ক্লাব-সংস্কৃতি প্রসঙ্গে উনি কিছুই জানেন না।"
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে মুখ না খুললেও, তাঁর নির্বাচনী এজেন্টও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, "আসলে ভোটে হারার আগে থেকেই বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী হারের কারণ সাজিয়ে রাখছেন। তাই এধরনের অভিযোগ তুলছেন। যে বা যাঁরা এসব বলছেন, তাঁদের জানা উচিত যে, একসময় বেহালায় মাস্তানদের জব্দ করতে এই ক্লাব সংগঠনগুলোই ময়দানে নেমেছিল। আর তৃণমূল তো দলগতভাবে কোনও অর্থসাহায্য করেনি! ক্লাবের রং-দল নির্বিশেষে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাই পশ্চিম বেহালা কেন্দ্রের ক্লাবগুলিকে অপমান করার আগে এসব ইতিহাসগুলো জানা দরকার শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের।"