নির্বাচন আসন্ন হলেই ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি নেতা-মন্ত্রীদের। কিন্তু ভোটবাক্স ভরলেই বেপাত্তা! সাধারণ মানুষের তরফে প্রায়শই এমন অভিযোগ শোনা যায়। উপরন্তু, তারকা হলে তো কোনও কথাই নেই! ট্রোলড সেক্ষেত্রে অবশ্যম্ভাবী। 'শুধু ফিতে কাটতে কিংবা উৎসবের আসরেই তারকাদের মুখ দেখা যায়' বলে অভিযোগ জনসাধারণের। সেই প্রেক্ষিতেই বোধহয় সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের মন্তব্য, "কথার কোনও দাম নেই, কাজই সব প্রমাণ করবে।"
Advertisment
পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েই যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta) বলেছিলেন, যুব সমাজের জন্য কাজ করতে চান। রাজ্যে আরও কর্মসংস্থান হোক, বাংলার মানুষকে যাতে পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি না দিতে হয়, সেটাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আসন্ন বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে গেরুয়া শিবিরে যশের এই যোগদানকে কিন্তু অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি বলে মনে করছেন। লক্ষ্যে স্থির অভিনেতাও। অতঃপর গত বুধবার কৈলাস-মুকুলদের হাত ধরে গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার পরই অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করে ফেলছেন যশ দাশগুপ্ত।
শুধু তাই নয়, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রার্থী করা হতে পারে যশ দাশগুপ্তকে। কারণ, বাংলায় যে অভিনেতার একটা বিশেষ সংখ্যক অনুরাগী রয়েছে, বিধানসভা ভোটে সেই ‘সংখ্যা-ত্বত্ত্ব’ ভোটবাক্সেও প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ। যশ যদিও তাঁকে ভোটপ্রার্থী করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত দলের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রাজনীতির ময়দানে তিনি যে পাকাপাকিভাবেই নামলেন সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিনেতা। এপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, "আমি পার্টটাইম রাজনীতি করতে আসিনি। সময় দিতে চাই। একদম শিকড়ে পৌঁছে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। চারপাশে যেসব উদাহরণ চোখে পড়ে, তার চেয়ে অন্যরকম উদাহরণ তৈরি করতে চাই।"
যশ যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি কিংবা দোষারোপের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন, সেকথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। মানুষের সেবা করাই মূল লক্ষ্য, এই বিষয়ে বিরোধী শিবিরের সাংসদ দেবের সঙ্গে এক্কেবারে একমত তিনি। আর সেই প্রেক্ষিতেই বোধহয় সমালোচকদের উদ্দেশে যশের বার্তা, "কথায় নয়, কাজেই করে দেখাবেন তিনি।"