"হঠাৎ করে নিজের ধর্মকে ছোট করে ‘লিবারাল’ কিংবা মুক্তমনা হতে গিয়ে যে যা পারছে, তাই বলছে! সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) পারবে মহম্মদ-প্রফেটের ছবিতে কন্ডোম পরিয়ে সেটা পোস্ট করতে?", এবার বিস্ফোরক অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra), যিনি কিনা 'দায়িত্ববান' শিল্পীর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন কর্মীও।
দলবদল, পালাবদল নিয়ে সরগরম টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়া। কাদা ছোঁড়াছুড়ির অন্ত নেই। এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়! কেউ কাউকে একচুল জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ। 'গো-মাংস রান্না' হোক কিংবা 'জয় শ্রী রাম ধ্বনি'র বিরোধিতা, সবেতেই বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ। ক্রমাগত খুন-ধর্ষণের হুমকি খেতে হচ্ছে শিল্পীদের। প্রতিনিয়ত 'কণ্ঠরোধ' করা হচ্ছে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে। রাজনৈতিক রঙের ঘেরাটোপে কোথাও যেন 'শিল্পীসত্ত্বা'টাই চাপা পড়ে গিয়েছে! তাই তো 'একদা বন্ধু'র দল-বদলানোর, সর্বপরি একই দলে যোগ দেওয়ার কথা শুনেও তাঁর 'রাজনৈতিক আদর্শগত স্থিরতা' নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও পিছপা হন না সহকর্মীরা। দেবলীনা দত্ত (Debolina Dutta), সায়নী ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এই নামগুলির সঙ্গে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে যাচ্ছে বিতর্ক। গত লোকসভা নির্বাচনের পর যেসব টলি-তারকারা পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরাও পিছিয়ে নেই। যার জল গড়িয়েছে রাজনৈতিক মঞ্চে নেতা-নেতৃদের বক্তৃতাতেও। এবার সেই বিতর্ক নিয়েই মুখ খুললেন রূপাঞ্জনা মিত্র। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে কলম ধরেছিলেন। সেখানেই এমন মন্তব্য অভিনেত্রীর।
তাঁর ক্ষোভ সায়নী-দেবলীনাকে খুন-ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে যে সভা আয়োজিত হয়েছিল, তাতে 'রাজনৈতিক রং' না লাগিয়ে ব্যক্তিগত কিংবা শিল্পী রূপাঞ্জনাকে ডাকলে, তিনি অবশ্যই যেতেন। "অনুষ্ঠানের 'জয় হিন্দ' স্লোগানই প্রমাণিত যে গোটা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি এখন একজনের হাতের পুতুল", সাফ মন্তব্য বিজেপি কর্মী রূপাঞ্জনার। এই প্রেক্ষিতে তিনি যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
'জয় শ্রী রাম' স্লোগানের বিরোধিতা করে সায়নী ঘোষ বর্তমানে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের রোষানলে। ইতিমধ্যেই ‘শিবলিঙ্গে কণ্ডোম পরানো’ প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। আইনি ফল ভোগার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। পাঁচ বছরের পুরনো টুইট ডিলিট করেও নিস্তার নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত খুন-ধর্ষণের হুমকির মাঝেই তাঁকে রাজ্য বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ 'যৌনকর্মী' বলে আক্রমণ করেছেন। যদিও দলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। সায়নীরও মন্তব্য "শমীকদার মন্তব্যে বিজেপির প্রতি আস্থা বাড়ল।" তবে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানো ইস্যুতে এবার রূপাঞ্জনা মিত্র ঝাঁজালো প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন সহকর্মীর উদ্দেশে।