উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারের সময় নিজস্ব কেন্দ্র মথুরায় গিয়ে কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন সাংসদ হেমা মালিনী (Hema Malini)। শুধু তাই নয়, কখনও বা তাঁকে দেখা গিয়েছিল ট্রাক্টর চালাতে, আবার কখনও বা চাষী-ভাইদের সঙ্গে মাথায় ফসল নিয়ে আলপথ দিয়ে হেঁটে যেতে। যার জেরে খোরাকও কম হয়নি বিজেপির এই সাংসদ-অভিনেত্রীকে নিয়ে। হেমার সেই সময়কার ছবি ভাইরাল করে নেটিজেনরা বলেছিলেন, "এটা ভোট ভিক্ষা করার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়!" বছর দুয়েক পর সেসব মশকরা-ঠাট্টাকেই যেন সত্যি প্রমাণ করে দিলেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। কৃষকদের উদ্দেশে বললেন, "এঁরা কী চান, তা নিজেই জানেন না!"
বিজেপির সাংসদ-অভিনেত্রীর কথায়, “এই তিন কৃষি আইনে এমন কী আছে যে ওঁদের (কৃষকদের) এত সমস্যা হচ্ছে! সরকারের সঙ্গে এতবার কথা বলেও সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। আসলে ওঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কেউ ওঁদের এসব করতে বলছেন বলে। ওঁরা নিজেরা কি চান, তা নিজেরাই জানেন না।”
এক সাক্ষাৎকারে হেমার এমন মন্তব্য ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায় "ভোটে জিতে যাওয়ার বছর দুয়েক পর আজ সেই সাংসদের মুখেই এমন কথা! বুঝুন কাণ্ড!" কৃষক আন্দোলন নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখন হেমার পরিবারেরই আরেক সদস্য, যিনি নিজেও কিনা পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বিজেপি সাংসদ, সানি দেওল, তাঁর মন্তব্যকে ঘিরেও বেজায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার হেমা মালিনীর মন্তব্য নিয়েও সেই একইরকম হট্টগোল বেঁধেছে। আম-আদমি পার্টির তরফে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় মাঠে গিয়ে হেমার ফসল কাটার ছবি পোস্ট করেও ব্যঙ্গ করে লেখা হয়েছে, "একমাত্র কৃষক, যিনি কৃষকদের সমস্যা বোঝেন না।"
ধর্মেন্দ্র অবশ্য কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মন্তব্য করেছিলেন যে, "আমার কৃষক ভাইদের এভাবে কষ্ট পেতে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে। সরকারের এ ব্যাপারে অবিলম্বে কিছু করা উচিত।" তবে হেমার গলায় তো অন্য সুর!
দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় যখন আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যু ঘটছে। কৃষি বিলের বিরোধিতা করে বাড়ি-ঘর, স্বজন ছেড়ে তাঁরা খোলা আকাশের নীচে ত্রিপল টাঙিয়ে শান্ত প্রতিবাদে আস্থা রেখেছেন, ঠিক তখনই এক সাক্ষাৎকারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে বলে, প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সাংসদ-অভিনেত্রী।
'এঁরা কী চান, তা নিজেই জানেন না!', কৃষক আন্দোলনকে কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীর
গত লোকসভা ভোটের প্রচারের ছবি শেয়ার করে হেমার এমন মন্তব্যকে 'ভন্ডামি'র আখ্যা রাজনৈতিক মহলের। পালটা দিতে ময়দানে আমি-আদমি পার্টিও।
Follow Us
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারের সময় নিজস্ব কেন্দ্র মথুরায় গিয়ে কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন সাংসদ হেমা মালিনী (Hema Malini)। শুধু তাই নয়, কখনও বা তাঁকে দেখা গিয়েছিল ট্রাক্টর চালাতে, আবার কখনও বা চাষী-ভাইদের সঙ্গে মাথায় ফসল নিয়ে আলপথ দিয়ে হেঁটে যেতে। যার জেরে খোরাকও কম হয়নি বিজেপির এই সাংসদ-অভিনেত্রীকে নিয়ে। হেমার সেই সময়কার ছবি ভাইরাল করে নেটিজেনরা বলেছিলেন, "এটা ভোট ভিক্ষা করার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়!" বছর দুয়েক পর সেসব মশকরা-ঠাট্টাকেই যেন সত্যি প্রমাণ করে দিলেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। কৃষকদের উদ্দেশে বললেন, "এঁরা কী চান, তা নিজেই জানেন না!"
বিজেপির সাংসদ-অভিনেত্রীর কথায়, “এই তিন কৃষি আইনে এমন কী আছে যে ওঁদের (কৃষকদের) এত সমস্যা হচ্ছে! সরকারের সঙ্গে এতবার কথা বলেও সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। আসলে ওঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কেউ ওঁদের এসব করতে বলছেন বলে। ওঁরা নিজেরা কি চান, তা নিজেরাই জানেন না।”
এক সাক্ষাৎকারে হেমার এমন মন্তব্য ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায় "ভোটে জিতে যাওয়ার বছর দুয়েক পর আজ সেই সাংসদের মুখেই এমন কথা! বুঝুন কাণ্ড!" কৃষক আন্দোলন নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখন হেমার পরিবারেরই আরেক সদস্য, যিনি নিজেও কিনা পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বিজেপি সাংসদ, সানি দেওল, তাঁর মন্তব্যকে ঘিরেও বেজায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার হেমা মালিনীর মন্তব্য নিয়েও সেই একইরকম হট্টগোল বেঁধেছে। আম-আদমি পার্টির তরফে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় মাঠে গিয়ে হেমার ফসল কাটার ছবি পোস্ট করেও ব্যঙ্গ করে লেখা হয়েছে, "একমাত্র কৃষক, যিনি কৃষকদের সমস্যা বোঝেন না।"
ধর্মেন্দ্র অবশ্য কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মন্তব্য করেছিলেন যে, "আমার কৃষক ভাইদের এভাবে কষ্ট পেতে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে। সরকারের এ ব্যাপারে অবিলম্বে কিছু করা উচিত।" তবে হেমার গলায় তো অন্য সুর!
দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় যখন আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যু ঘটছে। কৃষি বিলের বিরোধিতা করে বাড়ি-ঘর, স্বজন ছেড়ে তাঁরা খোলা আকাশের নীচে ত্রিপল টাঙিয়ে শান্ত প্রতিবাদে আস্থা রেখেছেন, ঠিক তখনই এক সাক্ষাৎকারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে বলে, প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সাংসদ-অভিনেত্রী।