রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসন তথা আমজনতার কপালে। কেউ অক্সিজেন সিলিন্ডারের হদিশ খুঁজছেন তো কেউ বা আবার হাসপালে বেড আছে কিনা, খোঁজ নিতে নাজেহাল। এমতাবস্থায়, একুশের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে যাঁরা সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে নাম লিখিয়েছিলেন মানুষের সেবার জন্য, তাঁদের পাত্তা নেই। ভোটপর্ব মিটতেই উধাও! সেই প্রেক্ষিতেই নেটজনতার একাংশের ব্যঙ্গাত্মক বার্তা, সাধারণ মানুষ যাতে বিপদে-আপদে পাশে থাকতে চেয়ে প্রাণ আনচান করা রাজনীতিতে নাম লেখানো সেসব তারকাপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন মাস্ক, স্যানিটাইজার, রক্ত, অক্সিজেন, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য!…’ এমন বিদ্রুপ করেই তাঁদের ফোন নম্বরে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। ব্যস! এরপর ক্রমাগত ফোনের ঠেলায় প্রাণ ওষ্ঠাগত বিজেপি-তৃণমূলের (BJP-TMC) তারকাপ্রার্থীদের। রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) অভিযোগের তীর অবশ্য বাম শিবিরের দিকে। তাঁর কথায়, "ব্যক্তিগত সূত্রে প্রাপ্ত খবরে সিপিএমেরই কেউ এমন কাজ করেছে।" এপ্রসঙ্গে বাম মনোভাবাপন্ন শ্রীলেখা মিত্রের (Sreelekha Mitra) যুক্তি, "বাম দল যদি একাজ করেই থাকে, তবে তা বেজায় বুদ্ধিদীপ্ত বদমায়েশি।"
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা এর আগেও তারকাদের মুড়িমুড়কির মতো রাজনীতিতে পদার্রনকে বিঁধেছিলেন। তাঁর কথায়, মানুষের সেবা করার জন্য রাজনৈতিক ময়দানে নাম লেখানোর কোনও প্রয়োজন হয় না। ফোন নম্বর দেওয়া ওই ভাইরাল পোস্ট অভিনেত্রীর হাতেও পড়েছিল। চেয়েছিলেন শেয়ার করতে। কিন্তু মন সায় দেয়নি। কারণ শ্রীলেখার মত, "এভাবে কারোর ব্যক্তিগত যোগাযোগ নম্বর বোধ হয় ফাঁস করে দেওয়া উচিত নয়।"
পাশাপাশি শ্রীলেখা এও বলেছেন যে, তিনি সত্যি জানেন না যে এই পোস্ট কার মস্তিষ্কপ্রসূত। তবে সত্যি যদি বাম শিবিরেরই কেউ করেন থাকেন, তাহলে বুদ্ধিদীপ্ত বদমায়েশি করেছে। তাঁর যুক্তি, "বাম দল আক্ষরিক অর্থেই শিক্ষিত।" নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে অভিনেত্রীর যুক্তি, "বাম দল লোক দেখানো কাজ করে না। শ্রমজীবী ক্যান্টিন, ১ টাকার বাজার, রক্তদান শিবির, ফ্রি কোচিং সেন্টার খুলে নীরবেই তাঁরা যে মানুষের পাশে রয়েছেন, ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত।" উদাহরণ হিসেবে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ৩ প্রার্থীর কথা তুলে ধরেছেন তিনি। শ্রীলেখার কথায়, "ভোট মিটতেই তৃণমূলপ্রার্থী লাভলি মৈত্র কিংবা বিজেপিপ্রার্থী অঞ্জনা বসুকে যেখানে দেখাই যাচ্ছে না, সেখানে বাম শিবিরের শুভম কিন্তু এলাকার কোভিড রোগীদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে স্যানিটাইজের কাজ করছেন। তার জন্য আলাদা করে কোনও ঢাকও পেটাননি! অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখানেই সিপিএমের (CPIM) পার্থক্য।"