যে মানুষটি কিনা এখন দুস্থদের কাছে ঈশ্বরের দূত-সম। অতিমারী আবহে তাঁদের কাছে রীতিমতো 'মসিহা' হয়ে উঠেছেন। যাঁর নামে তৈরি হয়েছে মন্দির, রাস্তাঘাট, সেই মানুষটির বিরুদ্ধেই এবার গুরুতর অভিযোগ তুলল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। কঙ্গনার (Kangana Ranaut) পর এবার অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠল সোনু সুদের (Sonu Sood) উপর। আর সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেতার বিরুদ্ধে জুহু পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিল বিএমসি।
BMC'র নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব সোনু সুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হোক। অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বৃহন্মুম্বই পুরসভার কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি না নিয়েই তাঁর বাসভবনকে হোটেলে পরিণত করেছেন। বিএমসির তরফে সোনু সুদকে একাধিকবার আইনি নোটিস পাঠানো হলেও অভিনেতা এর প্রেক্ষিতে কোনওরকম উত্তর দেননি। আর তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে সোনু সুদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এমনটাই জানানো হয়েছে মুম্বই পুরসভার তরফে।
শুধু সোনু সুদই নন, বাসভবনকে অবৈধভাবে হোটেলে পরিণত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রী সোনালি সুদের বিরুদ্ধেও। সোনু জুহুর শক্তি সাগর এলাকার ৬ তলার একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন। যেটা কিনা বাসভবন। আর সেই বাংলোতেই হোটেলের ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন তাঁরা, এমনটাই অভিযোগ বিএমসির। শুধু তাই নয়, ওই বাংলোতে বেআইনিভাবে অন্য কনস্ট্রাকশন গড়ে তোলার অভিযোগও রয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। দু'বার বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে পরিদর্শন করা হলেও কোনওরকম উচ্চবাচ্য করেননি সোনু। আর তাই এবার বিএমসির পক্ষ থেকে জুহু পুলিশকে লিখিত দেওয়া হয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে, যেন তারা এফআইআর দায়ের করেন। বিএমসির কে ওয়েস্ট ওয়ার্ডের বিল্ডিং অ্যান্ড ফ্যাক্টরি ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মন্দার ওয়াকানকাত নিজে সোনু সুদের বিরুদ্ধে পাঠানো ওই অভিযোগনামায় স্বাক্ষর করেছেন।
সূত্রের খবর, জুহু পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও অভিনেতার বিরুদ্ধে এখনও কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর সোনু সুদকে নোটিস পাঠিয়েছিল বিএমসি। রিপোর্ট পেশ করার শেষ তারিখ ছিল নভেম্বরের ২৬ তারিখ। তবে তারপর একমাস পেরলেও অভিনেতা কোনওরকম উত্তর করেননি। তাই বিএমসির তরফে এরকম চরম পদক্ষেপ নেওয়া হল।