Happy Fathers Day: কথায় বলে সন্তান ছোট থেকে নিজের বাড়িতে যা দেখে, বড় হয়েছে সেটাই শেখে। এমনকি বাবা মায়ের মধ্যে মিল কিংবা, ছোট থেকে সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের আচরণ সবটাই তার মনের মধ্যে এমনভাবে গেঁথে যায়, যা সাংঘাতিক! ছোটবেলা থেকে কোন সন্তান যদি বাবার কাছ থেকে আদর ভালোবাসা না পেয়ে বড় হয়, তবে তার মনের মধ্যে অদ্ভুত রকম এক অনুভূতি কাজ করতে থাকে। কিন্তু অভিনেতার অর্জুন রামপাল একদমই ভিন্ন। তার চার সন্তান, দুটি কন্যা সন্তান দুটি পুত্র সন্তান। সকলকে নিয়ে যেমন তার সুখের সংসার তেমনই, সকলের ব্যক্তিত্ব ও কিন্তু একদম আলাদা।
দুই প্রজন্মের সন্তানদেরকে বড় করতে গিয়ে অর্জুন রামপাল হিমশিম যেমন খেয়েছেন, মোদ্দা কথা বুঝেছেন যে মেয়েরা একরকম আর ছেলেরা খুব বদমাশ। প্রত্যেকটা সন্তানই যেন মিরাকেল। প্রথম সন্তানের যখন বাবা হয় তখন তিনি ভীষণ অল্পবয়সী। তখন ফিউচার বিল্ড আপ করার কথা চিন্তা করছেন অভিনেতা। তার কথায়, আমার মেয়ে সন্তান মাহিকা যখন জন্মাচ্ছে, তখন আমি খুবই ছোট। আমি চাইলেও এখনকার মতো বাবা হতে তখন পারতাম না। কিন্তু আমার ছেলে আরিফ যখন জন্মায় তখন আমি ভেবেই নিয়েছিলাম যে এবার আমি হ্যান্ডস অন বাবা হয়ে দেখাবো। তবে আমার মনে হয় মেয়েরা খুব মিষ্টি হয় ছেলেরা খুব বদমাইশ। যদি ওরা প্রত্যেকের মত করে ন্যাকা।"
Bengali Tv Actress: 'এতটা মায়ায় জড়িয়ে যাব ভাবিনি...', রাস্তা থেকে ত…
এরপরে তিনি নিজের বাবার কথা বলেন। তার বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অভিনেতা। বলতে শোনা যায়, বাবাকে তিনি ভালবাসতেন কিন্তু.. সময় এবং পরিস্থিতি তাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, যে বাবার থেকে কিছুটা হলেও দূরত্ব মেইনটেইন করতে হয়েছিল তাকে। অভিনেতা বলেন, "আমার বাবাকে আমি খুব ভালবাসতাম। কিন্তু যেদিন থেকে আমার বাবা মদ্যপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ল, সেদিন থেকে আমাদের সম্পর্কে একটু দূরত্ব সৃষ্টি এবং ভাঙ্গন ধরতে থাকে। আমরা অনেক বছর আগে আপুর সাথে কথা বলিনি।" বাবার মৃত্যুর আগেই তাদের মধ্যে আবারো যোগাযোগ স্থাপন হয়। চিঠিপত্র আদান প্রদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে কথা হত।
অভিনেতার কথায়, "আমি আমার বাবাকে রিহ্যাবে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমার বাবা বেশি দিন বাঁচলেন না হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন তিনি। এখন মনে হয় যদি তার সঙ্গে আরো কিছু সময় বেশি পেতাম তাহলে ভালো হতো।"