Bollywood Actress: ১৬ বছরে বিয়ে, ১৮-তেই বিবাহবিচ্ছেদ! যেভাবে যমজ সন্তানদের বড় করলেন অভিনেত্রী...

"আমি প্রেমে পাগল ছিলাম। তখনকার সময়ে একজন নারীর জন্য বিবাহকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হতো। আমার মা রক্ষণশীল মানসিকতার ছিলেন এবং সবসময় বলতেন, ‘স্বাধীন থেকো, তবে বিয়ে করো।’

"আমি প্রেমে পাগল ছিলাম। তখনকার সময়ে একজন নারীর জন্য বিবাহকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হতো। আমার মা রক্ষণশীল মানসিকতার ছিলেন এবং সবসময় বলতেন, ‘স্বাধীন থেকো, তবে বিয়ে করো।’

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
kamo

যা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে...

 টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি প্রায়শই কঠোর পরিবেশের জন্য সমালোচিত হয়, বিশেষ করে তরুণ অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে। দীর্ঘ সময়ের কাজ, চাপপূর্ণ শিডিউল ও অনিয়মিত বেতনের মতো সমস্যার কথা অনেকেই প্রকাশ্যে বলেছেন। যারা সফল হয়েছেন, তাদেরও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে, কিছু তারকাকে ব্যক্তিগত জীবনের লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন উর্বশী ধোলাকিয়া। 

Advertisment

যিনি মাত্র ছয় বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেছিলেন এবং ১৬ বছর বয়সে প্রেমে পড়েন। বিয়ে করার পর ক্যারিয়ার ছেড়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেন। উর্বশী একাধিকবার প্রকাশ্যে তার বিবাহবিচ্ছেদের প্রসঙ্গ তুলেছেন এবং জানিয়েছেন যে ১৮ বছর বয়সেই তিনি দুই সন্তানের সিঙ্গেল মাদার হয়ে যান। নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নিতে তিনি মাত্র এক মাস সময় নিয়েছিলেন এবং তারপরই ক্যারিয়ারে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

সিদ্ধার্থ কান্নানের সাথে এক সাক্ষাৎকারে উর্বশী বলেন, তিনি সবসময় নিজের জন্য ‘রূপকথার মতো’ জীবন চেয়েছিলেন। যখন তিনি তার হবু স্বামীর প্রেমে পড়েন, নিজেকে রাজকন্যার মতো মনে হয়েছিল। তারা প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেম করেছিলেন এবং উর্বশী পরিবার গড়ার জন্য ক্যারিয়ার ছেড়ে দিতে পর্যন্ত প্রস্তুত ছিলেন। তিনি বলেন...

Advertisment

"আমি প্রেমে পাগল ছিলাম। তখনকার সময়ে একজন নারীর জন্য বিবাহকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হতো। আমার মা রক্ষণশীল মানসিকতার ছিলেন এবং সবসময় বলতেন, ‘স্বাধীন থেকো, তবে বিয়ে করো।’ তখন সমাজও এমনই ছিল। আমার বয়স ছিল মাত্র ১৬, তখনও পরিণত হইনি। আমি ভাবছিলাম, ‘এখন আর কাজ করব না, সিন্ডারেলার মতো জীবন চাই।’ কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে, ১৭ বছরে যমজ সন্তানের জন্ম এবং ১৮ বছরেই বিবাহবিচ্ছেদ।”

বিবাহবিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে উর্বশী বলেন, “সে দায়িত্ব নিতে চায়নি। প্রেমে পড়েছিল, কিন্তু, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা হয়নি তাঁর। কিন্তু আমি কেন আমার সন্তানদের ত্যাগ করব? যদি ত্যাগ করার ইচ্ছা থাকত, তবে তাদের জন্মই দিতাম না।” এক মাস নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি কাজে ফেরেন। তার ছেলেদের বড় করে তোলার দায়িত্বের বেশিরভাগটাই নিয়েছিলেন তার মা। উর্বশীর কথায়, “তোমার প্রয়োজনের সময় বাবা-মার চেয়ে বড় সাহায্য আর কেউ করতে পারে না।” তিনি ১৯ বছর বয়সে কাজে ফিরেছিলেন, কারণ বাবা-মায়ের উপর বোঝা হয়ে থাকতে চাননি।

তার দুই ছেলে, ক্ষিতিজ ও সাগর, কখনো তাদের বাবার সাথে দেখা করেনি। উর্বশী বলেন, “তারা নিজেরাও তার সম্পর্কে কিছু জানতে চায় না। আমরা চেষ্টা করেছি জানাতে, কিন্তু তারা সবসময় বলেছে, ‘আমরা জানতে চাই না।’” এক সাক্ষাৎকারে উর্বশী আরও জানান, তার ছেলেরা তাকে আবার ভালোবাসা খুঁজে নেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু তিনি নিজের জীবনে সময় দিতে পারেননি। বলেন, "অবশ্যই জীবনে চলার পথে অনেকেই আকর্ষণ অনুভব করেছে, কিন্তু আমি সবসময় মনোযোগী ছিলাম। যখনই বুঝেছি কারও গোপন উদ্দেশ্য আছে, সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছি। আমি সবসময় স্পষ্ট ছিলাম।" 

Entertainment News Today Entertainment News