Rani Mukherjee Birthday-Bollywood: অল্প বয়সেই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন। বাংলায় তার বিয়ের ফুল ছবি থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তারপর বলিউডে পা রেখে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বরং, একের পর এক হিট ছবি দিয়ে গিয়েছেন। প্রসঙ্গে রানী মুখোপাধ্যায়। আজ তার জন্মদিন। একসময় যখন কমার্শিয়াল হিট দিয়ে মানুষের মনের রানী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ঠিক তারপর, ভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজের অভিনয়কে প্রমাণ করেছেন।
১৫-১৬ বছর বয়সে 'রাজা কি আয়েগি বারাত' ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই যাত্রা মোটেই খুব সহজ ছিল না। কারণ, কেঁদে কেঁদে তার হাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। শাড়ি পরিহিত অবস্থায় ওরকম হাপুস নয়নে কাঁদা যায়? হঠাৎ করে, যদি কেউ কাঁদতে বলে, তাহলে কেমন হয়? রানীর জীবনেও থিক সেরকম ঘটনা ঘটেছিল। অভিনেত্রী জানান, তার মা চেয়েছিলেন যে তিনি নায়িকা হন, কিন্তু তারপর যা করেছিলেন অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে শুরুর সময়ের কথা বলতে গিয়েই তিনি জানান তিনি প্রথম দিকে দারুণ কেঁদেছিলেন। অডিশনের সময় থেকেই দারুণ কাঁদতে হয়েছিল তাঁকে। অভিনেত্রী বলেন, "আমায় একটা অদ্ভুত শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর একটা বড় স্ক্রিপ্ট হাতে দিয়ে বলেছিল কোর্টের এই ডায়লগ পড়তে হবে। চোখে বোতল বোতল গ্লিসারিন ঢেলে দিয়ে বলেছিল, কাঁদো এবার। আমি তো ভাবছি, যে কী হয়ে গেল, এভাবে কেউ করে? আমি এমন কেঁদেছিলাম স্ক্রিন টেস্টে যে...
এরপরই অভিনেত্রী জানান, তার মা কী অনুরোধ করেছিলেন প্রযোজকের কাছে? তিনিই চেয়েছিলেন যে মেয়ে নায়িকা হন, কিন্তু তিনিই আবার মেয়ের খারাপ চেয়েছিলেন? অভিনেত্রী বলেন, আমার অভিনয় দেখে মা প্রযোজকের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, এত খারাপ অভিনয়, ওকে দয়া করে নেবেন না। খুব খারাপ অভিনয়।" এখানেই শেষ না, অভিনেত্রী জানান তাঁর বাবা পর্যন্ত কেঁদে ফেলেছিলেন তাঁকে বড়পর্দায় দেখে।
উল্লেখ্য, তিনি যে শুধু কাঁদতে পারেন এমনটা না। বরং আমিরের দৌলতে তিনি রোমান্স করতেও শিখেছেন। এমন পটু তিনি, যে এখন গাছের সঙ্গেও রোম্যান্টিক হতে পারেন তিনি।