২০২৪ সালে কিছু ছবি যেমন মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিল, ঠিক তেমনই কিছু ছবি দর্শক হলে গিয়ে দেখা তো দূর, তাঁরা সেগুলি OTT রিলিজ করলেও সেগুলো দেখেননি। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের ছবি ঠিক সেরকমই রয়েছে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার ছবি।
বলিউডের বিগ বাজেট ছবি হলেও এগুলি না বেশিদিন হলে টিকতে পেয়েছে না, বক্স অফিসে বিরাট ব্যবসা করতে পেরেছে। সেগুলি কী কী জানা আছে?
বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা: অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রফ অভিনীত এই ছবি একেবারেই মানুষের পছন্দ হয়নি। তারকা জুটি একসঙ্গে এলেও এই ছবি নতুন কিংবা ফ্রেশ কিছু একেবারেই দেখাতে পারেনি। ফলে, এই ছবিকে ২০২৪ এর খারাপ ছবি বলাই যায়।
চান্দু চ্যাম্পিয়ন : সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত চান্দু চ্যাম্পিয়ন কবীর খানের ছবি। এতে দেখা গিয়েছিল কার্তিক আরিয়ানকে। যদিও বা এটি রিয়েল লাইফ ইন্সিডেন্ট, তারপরেও এই ছবি একেবারেই দর্শকের পছন্দ হয়নি। এবং বলাই বাহুল্য, কবীর খানের ৮৩ ছবিটি বিশ্বকাপ জয় নিয়ে হলেও সেটিও দারুণ ব্যবসা করতে পারেননি।
ক্র্যাক : বিদ্যুৎ জামাওয়াল অভিনীত এই ছবিকে তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা বই হিসাবে ভাবা হলেও এই ছবির দুর্বল স্ক্রীপ্ট একেবারেই মানুষের মনোরঞ্জন করতে পারেনি। এমনকি, অ্যাকশন তাঁর ভাল জনার হলেও এই ছবি তাঁর পক্ষে কাজ করেনি।
যোদ্ধা : সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত এই ছবি সেইভাবে কাউকে ইমপ্রেস করতে পারেনি। তাঁর থেকেও বড় কথা, বহু দেশপ্রেমের সিনেমা করার পর, এটিও তিনি ট্রাই নিয়েছিলেন। কিন্তু, সেটি কাজ করেনি। বলা উচিত, সিদ্ধার্থের শেরশাহ ছবির পর আর ভাল ছবি সেভাবে দেখা যায়নি।
জিগরা : আলিয়া ভাটের জীবনে ডিসাস্টার যদি থেকে থাকে তবে জিগরার নাম আগে নিতে হয়। এই চিনিয়ে ভেদাঙ্গ রায়না রয়েছেন। দুই ভাই বোনের গল্প এই ছবি। কিন্তু ওভার ড্রামাটিক এই ছবি সেভাবে কেউ পছন্দ করেননি। কিছুদিন সিনেমাহলে থাকলেও, তারপর আলিয়ার এই ছবি দেখানো বন্ধ হয়ে যায়।
মেরি ক্রিসমাস : ক্যাটরিনা কাইফ এবং বিজয় সেতুপতি অভিনীত এই ছবি সেভাবে দর্শকের মনোরঞ্জন করতে পারেননি। থ্রিলার হিসেবে এই ছবি একদম ডাহা ফ্লপ। রহস্য এবং রোমাঞ্চ বিন্দুমাত্র ছিল না এই ছবিতে। সেভাবে কামাল করতে পারেনি এই ছবি।
উলাঝ : জাহ্নবী কাপুর অভিনীত এই ছবি, নারীকেন্দ্রিক ছবি হলেও ভয়ংকরভাবে সেটি ফ্লপ করে। এই ছবিটি তাঁর জীবনের অন্যতম ফ্লপ হিসেবেই গণ্য করা হয়। থ্রিলার ক্রাইম ড্রামা হলেও বিন্দুমাত্র রহস্য সেখানে ছিল না।