Kishore Kumar Death Story: বাবার মৃত্যুর সময় উপস্থিত ছিলেন না ছেলে। বাড়িতে থাকা তো দূর দেশে পর্যন্ত ছিলেন না। তার মধ্যে যে বাবা এই ভাবে চলে যাবেন সে কথা যেন কল্পনাও করতে পারেনি কিংবদন্তি গায়কের পুত্র। আজও সেই স্মৃতি তাকে তাড়া করে বেড়ায়। জ্যাঠার জন্মদিনের দিন যে, বাবার মৃত্যু হবে যেন কল্পনাও করতে পারেননি। শিল্পীর কাছে যখন এ প্রসঙ্গ রাখা হল, তখন তিনি সোজাসাপ্টা বেশ কিছু কথা বললেন...
কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার তাঁর বাবাকে নিয়ে নানা অজানা গল্প শেয়ার করছেন। কিন্তু কিশোর কুমার যেদিন চলে গেলেন সেদিন শহরে ছিলেন না, অমিত কুমার। জ্যাঠা তখনও বেঁচে, তার মধ্যেই বাবা প্রয়াত, এই শোক আজও সাংঘাতিক কষ্ট দেয় অমিতকে। শিল্পীকে বলতে শোনা গেল, ১৩ অক্টোবর ১৯৮৭ সাল, সেদিন দাদামনি মানে অশোক কুমারের জন্মদিন। আমি কানাডায় ছিলাম। বোম্বে থেকে ফোন এলো আমার কাছে কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না।"
Rajesh Sharma: ট্যাক্সি চালাতেন, কোনওরকমে পেট চলত, যেভাবে প্রসেনজিৎ-ত…
কিছুদিন আগে চলে গেছেন দেব মুখার্জি। তাকে ভালোবেসে অমিত দেবুদা বলে ডাকতেন। বাঙালিরা এমনিও বয়সে বড়দের দাদা বলে ডাকেন। অমিত কুমার কে বলতে শোনা গেল, " আমাকে ফোন করে দেবুদা জিজ্ঞাসা করলেন অমিত, তুই কোথায়? আসছিস না কেন? আমি তো অবাক! আমি বললাম, যারে, আমি আসছি তো! সমু মুখোপাধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলেন, সকলে মিলে আমায় একটাই কথা বলছিলেন যে তাড়াতাড়ি চলে এসো। কিন্তু কারণটা কি সেটা কেউ ব্যক্ত করছেন না। আমি সবাইকে একটাই কথা বলছিলাম যে সব ঠিক আছে তো? একটা সময় পর, একবার জিজ্ঞাসা করলাম যে আমি আসছি, কিন্তু বাবা কোথায়? আমার মনে একটু চলছিল যে কেন সবাই আমাকে ফিরে আসতে বলছে।"
কিন্তু প্রথম যে মানুষটি তাকে ফোন করে মাথায় বাজ ফেলেছিলেন, তিনি আর কেউ না! বরং কিংবদন্তি পরিচালক শক্তি সামন্ত। শক্তি সামন্ত তাঁকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে কিশোর আর নেই। অমিত কুমার বললেন, "বরফের চাইটা ভেঙে ফেললেন শক্তি সামন্ত। উনি আমাকে ফোন করে বললেন যে অমিত কিশোর আর নেই। উনি যেই এই কথাটা বললেন, আমার পায়ের নিচে থেকে মাটিটা সরে গেল। আমি শেষ তখন।"