ফিরে দেখা ২০২৪, আর সেখানে এবছর বলিউডের ছবিতে নারী ক্ষমতার উপস্থিতি নিয়ে কথা হবে না, সেটাও নিশ্চয়ই সম্ভব না। যাই হোক, এবছর বলিউডে কিন্তু বেশ কয়েকটি ছবি রিলিজ হয়েছে যাকে নারীকেন্দ্রিক ছবির আওতায় না ফেলা গেলেও তাতে অভিনেত্রীদের নিদারুণ স্ট্রং পয়েন্টে দেখানো হয়েছে। সেরকম কয়েকটি ছবি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পাই।
যদিও একথা অস্বীকার করলে চলবে না, যে দিনের পর দিন নারীকেন্দ্রিক ছবির সংখ্যা দুই ইন্ডাস্ট্রিতে বেড়েছে। বলিউড কিংবা টলিউড সর্বত্রই সেরকম উদাহরণ রয়েছে। একটু খেয়াল করতে দেখা যাবে, বলিউডে সেই উদাহরণ এবছর কম নেই। এবং তাঁর সঙ্গে সঙ্গে নারীকেন্দ্রিক ছবিও রয়েছে বেশ কয়েকটা।
স্ত্রী ২: ও স্ত্রী, কাল আনা... এই ডায়ালগটি যে মাত্রায় জনপ্রিয় হয়েছে অনেকেই জানেন। কিন্তু, তাঁর থেকেও বড় কথা শ্রদ্ধা কাপুর যেভাবে একজন নারী হিসেবে এই ছবিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন সেটি প্রশংসনীয়। এবং নারীকেন্দ্রিক ছবি হিসেবেই এটিকে বর্ণনা করা যায়।
লাপাতা লেডিস: অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল এই ছবি। যদিও বা সেটি বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর পিছিয়ে যায় এই ছবি। কিন্তু, দুই গ্রামের মেয়ের এক আইডিএনজিৎ সুন্দর গল্প বলেছে এই ছবি। এবং সারা দেশের মানুষের নিদারুণ পছন্দ হয়েছে। আমির খানের স্ত্রীর পরিচালনায় এই ছবি।
ক্রিউ: সম্পূর্ন তিনজন নারীর উপস্থিতি এই ছবিতে। কৃতী - করিনা এবং তাব্বু। তিনজন বিমান সেবিকাকে নিয়ে এই গল্প। শুধু তাই নয়, এই ছবি নারী ক্ষমতায়নকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
সিংঘম এগেইন: একঝাঁক পুরুষ তারকার মধ্যে দেখা গিয়েছে, সিংঘম এগেইন ছবির দুই মহিলা লিড, দীপিকা পাড়ুকোন এবং করিনা কাপুরকে। এবং এই সিনেমায় তাঁরা এক্কেবারে অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুই অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে, বন্দুক হাতে লড়াই করতে।
পুষ্পা ২: পুষ্পা তাঁর শ্রীভাল্লিকে নিয়ে কিছু শুনতেই নারাজ। একজন মাফিয়া ডন হয়েও স্ত্রীকে কিভাবে সম্মান জানাতে হয়, সেটা তিনি জানেন। এবং গোটা ছবিতে দেখানো হয়েছে, অভিনেতাকে তাঁর স্ত্রীকে প্রাধান্য দিতে। এমনকি তাঁর জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন পর্যন্ত করে ফেললেন তিনি। যতই পুষ্পা পুরুষতান্ত্রিক ছবি হোক, এখানে শ্রীভাল্লীর ভূমিকা কিন্তু নিদারুণ।
জিগরা: আলিয়া ভাট অভিনীত এই ছবি কিন্তু, সেভাবে প্রশংসা পায়নি। কিন্তু, এই ছবি এক দিদির গল্প। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ভাইকে রক্ষা করতে সে সবকিছু করতে প্রস্তুত।