Adnan sami And Pakistan: আদনান সামী, নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায় সেই আইকনিক হিট গান 'তেরা চেহারা' আর 'লিফ্ট করাদে'। পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমস্যার কারণে ২০১৬ সালে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন আদনান সামী। পরিবার ছেড়ে ভারতে চলে আসার জন্য অনেক গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, পহেলগাঁওয়ে পাক জঙ্গিদের হামলার পর ভারত থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ হুসেন প্রশ্ন তুলেছিলেন আদনান দেশে ফিরবেন কিনা। পালটা জবাবে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ২০১৬ থেকে ভারতীয়। তাই পাকিস্তানে ফেরার কোনও প্রশ্নই নেই। সম্প্রতি আদনান আপ কি আদালতে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে পাকস্তান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন গায়ক আদনান সামী। তিনি জানান, মায়ের শেষকৃত্যে যাওয়ার জন্য পাকিস্তান তাঁকে ভিসা দেয়নি।
এই শোয়ের সঞ্চালক রজত শর্মা। তাঁর সঙ্গে কথপকথোনের সময়ই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পর আর কখনও পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন আদনান? সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ২০২৪-এর অক্টোবরে মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর পর পাকিস্তানে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন গায়ক। মায়ের কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। তাই আচমকা মৃত্যুর খবরে মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমার পরিস্থিতি বুঝেছিল। কিন্তু, পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলে পাকিস্তান সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। যার ফলে মাকে শেষ দেখাটা দেখতে পারেননি আদনান। শেষকৃত্যতেও আজ যাওয়া হয়নি। ভিডিওকলের মাধ্যেমে মায়ের শেষযাত্রার সাক্ষী থেকেছিলেন গায়ক।
আরও পড়ুন ফ্লাইওভারের উপর ভয়ংকর গাড়ি দুর্ঘটনা, চলন্ত গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন অভিনেতা
সেই সাক্ষাৎকারে আদনান সামী আরও একটি বিষয়ে কথা বলেন। অনেকেই খোঁচা মেরে বলেন, তিনি নাকি অর্থ উপার্জনের জন্য ভারতের নাগরিকত্ত্ব নিয়েছেন। কিন্তু, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অর্থের লোভে এদেশে আসেননি। তিনি শিক্ষিত ও স্বচ্ছ্বল পরিবারের ছেলে। কোনওদিনই অর্থাভাব ছিল না। শিল্পী সত্ত্বাকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ভারতে এসেছিলেন। কেরিয়ারে উন্নতি করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। আরও বলেন, কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি আজও পাকিস্তানে রয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ভারতে কেরিয়ারে উন্নতির সুযোগ অনেক বেশি, দর্শক-শ্রোতাদের সঙ্গে শিল্পীর সংযোগটাও অনেক গভীর।