হালকা সবুজ টি-শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে বিগ বি। মাথা ঢাকা টুপিতে। বিধি মেনে মুখে মাস্ক। এই ভূষণেই করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন অমিতাভ বচ্চন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন সেই ছবি। গত মাসে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন অভিনেতা। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা। বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন অমিতাভ।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই রাজধানীর ‘শ্রী গুরু তেগ বাহাদুর কোভিড কেয়ার সেন্টার’-এ ২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন ‘শাহেনশা’, এবার পোল্যান্ড থেকে ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আনাতে চলেছেন। অক্সিজেনের অভাবে দেশে মুমূর্ষু কোভিড রোগীদের মৃত্যু ঘটছে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য চারিদিকে হাহাকার। তাই অক্সিজেনের জোগান যাতে যথাযথ থাকে, সেই প্রেক্ষিতেই এগিয়ে এলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)।
দেখুন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট:
তবে শুধু যে, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এনেই ক্ষান্ত থাকছেন অমিতাভ এমনটা নয়। সঙ্গে ২০টি ভেন্টিলেটরও কিনছেন। কোভিড (Covid-19) রোগীদের চিকিৎসায় যাবতীয় এই জিনিসগুলি বিগ বি তুলে দেবেন বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের হাতে। নিজের ব্লগে এমনটাই জানিয়েছেন বর্ষীয়াণ অভিনেতা। ১০টি ভেন্টিলেটর ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে এবং মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পাঠানোও হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত লকডাউন থেকে এবছর অবধি অতিমারী (Pandemic) পরিবেশে জনসাধারণের সেবায় মোট ১৫ কোটি টাকা খরচা করে ফেলেছেন অমিতাভ, কটাক্ষের জেরে দিন কয়েক আগে নিজের ব্লগেই সেকথা লিখেছেন তিনি। তবে এবারও যখন অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের জনজীবন ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত, তখনও থামাননি সাহায্যের হাত।
প্রসঙ্গত ব্লগে অমিতাভ জানিয়েছেন, তাঁর বয়সের কথা ভেবে পোল্যান্ডের কনসাল তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তাঁকে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধুর সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে অভিনেতা ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের অর্ডার দিতে চান। দেশের মানুষ যেখানে অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন, সেখানে ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে এই ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন বিগ বি। অমিতাভের প্রস্তাব পেয়েই তিনি অভিনেতাকে পোল্যান্ডের একটি কোম্পানির খোঁজ দেন। যেখানে কিনা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করা হয়। সেই কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কেনার ব্যবস্থা করেন অমিতাভ। অমিতাভের এমন উদ্যোগে বেজায় খুশি বৃহন্মুম্বই পুরসভার আধিকারিক-কর্মীরা।