বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জিনাত আমানের সঙ্গে তাঁর নিজের বাড়িতেই যে এহেন ঘটনা ঘটে যাবে, তাও আবার তখন তিনি একা থাকবেন, যেন ভাবতেও পারেননি তিনি। অভিনেত্রী নিজে সমাজ মাধ্যমে দারুণ সক্রিয়। তিনি তাঁর জীবনের সোনালী দিনের নানা কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু, আজ এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন।
সোমবার রাতে ঘটে এই ঘটনা। বাড়িতে নিত্যদিনের কাজ করতে গিয়ে যে তাঁর এহেন সমস্যা হবে, আর সাহায্যের জন্য কাউকে পাবেন না সামনে, এমন এক ঘটনাই শেয়ার করেছেন তিনি। ওষুধ খেতে গিয়ে এরকম বিপদে পড়বেন। জিনাত জানিয়েছেন, রোজ যেমন ওষুধ খান সেটাই করছিলেন। একটা ওষুধ গলায় আটকে যায়! দমবন্ধ হয়ে আসে তাঁর। কোনমতে তাঁর ছেলে তাঁকে বাঁচিয়ে নেন।
কী হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি?
আমি পিলটা মুখে দিয়ে এক চুমুক জল খেয়ে নিলাম, তারপর অনুভব করলাম আমার নিঃশ্বাস আটকে গেল। ছোট্ট বড়িটা আমার গলায় ঢুকে গেল। এত নিচে নেমে গেছে যে গিলতে পারছে না। আমি তখনও শ্বাস নিতে পারছিলাম, তবে সেটি সীমাবদ্ধ হয়ে আসছিল। আমি আরও কয়েক ঢোক জল খেতে থাকলাম, যতক্ষণ না গ্লাসটা খালি হয়ে গেল কিন্তু বড়ি আটকে রইল।
তিনি আরও বললেন, "বাড়িতে কুকুর আর পাঁচটা বিড়াল ছাড়া আর কেউ ছিল না, আর আতঙ্ক ঘিরে ধরল আমায়। ডাক্তারের নাম্বার ব্যস্ত ছিল, তাই আমি জাহানকে সমানে ফোন করে গিয়েছি। ও তাড়াহুড়ো করে নিজের কাজ ছেড়ে আমার কাছে আসতে মরিয়া তখন। আমি যখন তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন আমার অস্বস্তি বাড়তে লাগল। আমি আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। আমার নিঃশ্বাস বন্ধু হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছিল। তারপর, জাহান এল, অবশেষে আমরা ডাক্তারের কাছে গেলাম। তিনি বলেছিলেন যে এটি সময়মতো গলবে, এবং আমি পরবর্তী কয়েক ঘন্টা গরম জল খেয়ে অপেক্ষা করলাম।
এখন কেমন আছেন তিনি?
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই অগ্নিপরীক্ষা সম্পর্কে কিছুটা লজ্জা অনুভব করলাম। একজনের জীবনে সর্বদা কঠিন সময় আসবে যা কম পদক্ষেপ এবং আরও ধৈর্য দাবি করে। ওষুধটা গলায় আটকে যাওয়ার পর অস্বস্তি তীব্র ছিল। আমি অন্যের কাছ থেকে সমাধান চেয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমি যা করতে পারি তা হ'ল ধৈর্য এবং নিজের ভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন করা।
উল্লেখ্য, বহুদিন লাইমলাইট থেকে দূরে থাকলেও তিনি যে ইন্টারনেট সেনসেশন সেকথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তাঁর একেকটা পোস্ট এত তথ্যমূলক হয়, যে সকলেই তাঁর পোস্ট দেখার অপেক্ষায় থাকেন। যদিও অনেকদিন সিনেমায় তাঁকে দেখা যায়নি।