মাদককাণ্ডে জড়িয়ে গত ৩ অক্টোবর থেকে পুলিশি হেফাজতে আরিয়ান খান (Aryan Khan)। একাধিকবার নাকচ হয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। বদলেছে আইনজীবী। তবুও কোনও সুবিধে হয়নি। মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টে (Bombay HC) ফের শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। তবে এবারও জেল থেকে মুক্তি পেলেন না আরিয়ান। শুনানির মামলা স্থগিত হয়ে গেল মঙ্গলবারের জন্য। বুধবার ফের বম্বে হাইকোর্টে শাহরুখ-পুত্রের জামিন মামলার শুনানি হবে।
মঙ্গলবার শাহরুখ-পুত্রের হয়ে কোর্টে সওয়াল করেন ভারতের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি (Mukul Rohatgi)। সেশন কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই শাহরুখ তাঁর ছেলের জামিনের জন্য আবেদন করেন বম্বে হাইকোর্টে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) অভিযোগে একের পর এক পাল্টা যুক্তি পেশ করেছিলেন রোহাতগি। প্রশ্ন তুলেছিলেন, আরিয়ান খানের কাছ থেকে কোনওরকম মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। এমনকী তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়নি। তাহলে কীসের প্রেক্ষিতে শাহরুখ-পুত্রকে (Shah Rukh Khan) গ্রেফতার করা হয়েছে? আর কেনই বা এতদিন ধরে জেলে রাখা হয়েছে?
<আরও পড়ুন: মেলেনি মাদক, মেডিক্যাল টেস্টও হয়নি, কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? প্রশ্ন আরিয়ানের আইনজীবীর>
রোহাতগির যুক্তি ছিল, “আরবাজ মার্চেন্টের (Arbaaz Marchent) কাছ থেকে ৬ গ্রাম চরাস পাওয়া গিয়েছে। তবে আরিয়ানের কাছে থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, আরবাজ আর আরিয়ানের মধ্যে কোনও প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্কও নেই। তাছাড়া, প্রমাণ কোথায় যে, শাহরুখ-পুত্রের দেওয়া টাকা দিয়েই আরবাজ মাদকদ্রব্য কিনেছেন? তাছাড়া, হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট দেখে সন্দেহের ভিত্তিতেই যদি গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন আরিয়ানের শারীরিক পরীক্ষা করা হল না?” পাশপাশি এদিন আদালতে রোহাতগি এও জানিয়েছেন যে, যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই চ্যাট আদৌ সেদিনকার প্রোমোদতরী পার্টিকে ঘিরে নয়।
এরপরই বর্ষীয়ান আইনজীবী অমিত দেশাই জানান আরেক আবেদনকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করার জন্য তিনি আরও আধ ঘণ্টা সময় নেবেন। কিন্তু আদালতের স্বল্প সময়ের কারণে শেষমেশ আরিয়ান খানের জামিন মামলার শুনানি মঙ্গলবারের জন্য মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন বিচারক। বুধবার বিকেলে ফের বম্বে হাইকোর্টে শাহরুখ-পুত্রের জামিন মামলার শুনানি হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন