Aryan Khan Drug case: শনিবার আরিয়ান খান মাদককাণ্ডে নয়া রায় শোনাল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay HC)। জামিনের আদেশনামায় কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল যে, প্রমোদতরী মাদকমামলায় তিন অভিযুক্ত আরিয়ান খান (Aryan Khan), মুনমুন ধামেচা ও আরবাজ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এখানেই শেষ নয়, আজ আদালতের রায়ে খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস শাহরুখ-পুত্রের। এবার প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলিউড সুপারস্টারের ছেলেকে? মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের কথাই কি সত্যি?
কারণ? বম্বে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে আরিয়ানদের কাছে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য মাদক ছিল, তার মানে এই নয় যে, ওঁদের মধ্যে কোনওরকম অপরাধপ্রবণতা রয়েছে। পাশাপাশি, শাহরুখ-পুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এমন কিছু আপত্তিকর কথাও পাওয়া যায়নি, যার ওপর ভিত্তি করে এটা বলা যায় যে, মুনমুন ও আরবাজের সঙ্গে মিলিতভাবে কোনও ষড়যন্ত্র করেছিলেন আরিয়ান খান।
<আরও পড়ুন: দুই বিগ বাজেট ছবির বক্সঅফিস যুদ্ধ! একইদিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘লাল সিং চাড্ডা’ ও ‘KGF 2’>
উল্লেখ্য, জামিনের আদেশনামায় এও বলা হয়েছে যে, মুনমুন ধামেচা ও আরবাজ মার্চেন্টের সঙ্গে একই প্রোমোদতরীতে ছিলেন আরিয়ান, শুধুমাত্র যুক্তির ভিত্তিতে ওঁদের বিরুদ্ধে কোনওরকম ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা অনুচিত। এছাড়া, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে যে জবানবন্দি জমা দেওয়া হয়েছিল কোর্টে, সেটার ওপরও দৃষ্টিনিক্ষেপ করে আদালত জানিয়েছে, পুলিশের তরফে নেওয়া জবানবন্দির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। সেটা শুধুমাত্র তদন্তের প্রয়োজনেই ব্যবহার হতে পারে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক আগেই কেন্দ্রকে তোপ দেগে দাবি তুলেছিলেন যে, "শাহরুখ খানের ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।" আজ জামিনের আদেশনামায় আদালত যা লিখল, সেই প্রেক্ষিতে আবারও প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, ৩০ অক্টোবর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন শাহরুখ-পুত্র। তারপর থেকে প্রতি শুক্রবারই নির্দেশমতো এনসিবির দপ্তরে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে। মেনে চলতে হচ্ছে কড়া নির্দেশও। দেশ তো দূর অস্ত, শহর ছেড়েও কোথাও যাওয়ায় বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে আজ আদালতের রায়ে যে আরিয়ান খান কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, তা বলাই বাহুল্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন