গুলশন কুমার হত্যাকাণ্ডে দাউদ ঘনিষ্ঠ অপরাধী আবদুল রউফ মার্চেন্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট।২০০২ সালে রউফ মার্চেন্টকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বম্বের এক আদালত। ১৯৯৭ সালে ব্যবসায়ীক শত্রুতার জেরে মন্দির থেকে বাড়ির ফেরার পথে খুন হয়েছিলেন টি-সিরিজের কর্ণধার।
এই মামলায় ওপর অভিযুক্ত টিপস সংস্থার কর্ণধার রমেশ তৌরানীকে বেকসুর খালাসে নারাজ বম্বে হাইকোর্ট। তাঁকে খালাস করতে মহারাষ্ট্র সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। সেই আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি এসএস যাদব এবং এনআর বোরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, রউফ দাউদ মার্চেন্ট অপরাধপ্রবণ। তার গ্রেফতারির পরেও পলাতক ছিল। তাই কোনওভাবেই তাকে ছাড় নয়। ২০০৯ সালে সে প্যারল পেয়েছিল। সেই সময় বিচারাধীন ছিল। কিন্তু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছে। তাই তার প্রতি কোনও শিথিলতা দেখাবে না বিচারব্যবস্থা।‘
বম্বে হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘২০০২ সালে ২৯ এপ্রিল নিম্ন আদালত তাকে আইপিসির ৩০২ ও ৩০৭ ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দিয়েছিল। আমরা সেই সাজাই বহাল রাখছি। আবদুল রউফ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে আইপিসির ১২০-বি ধারাও যুক্ত হয়েছে। তবে ডাকাতি এবং প্রাণহানির উদ্দেশে ডাকাতির ধারায় সে বেকসুর হয়েছে।‘
এই মামলায় অপর অপরাধী আবদুল রশিদ দাউদের বিরুদ্ধে করা আবেদন শুনতে সম্মতি দিয়েছে। রাজ্য সরকার তার বেকসুর খালাসের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করেছে। আবদুল রউফের ভাই আবদুল রশিদ। সে-ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। গুলশন কুমারের হত্যার পর জানা গিয়েছে, তাঁর ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বী দুবাইস্থিত গ্যাংস্টার আবু সালেমকে এই কাজে ভাড়া করেছিল। কিন্তু নিম্ন আদালত শুধু আবদুল রউফকে দোষী সাব্যস্ত করে বাকিদের বেকসুর খালাস করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন