"আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং মোস্ট হিরো.. আমি যে পারিশ্রমিকটা নিই, সেটা আমি মেনে নিতে পারি। এতগুলো বছর খেটে সেই পারিশ্রমিকটা আমি উপার্জন করেছি। তাই সেটার ওপর কেউ কথা বলতে পারে না..", ইডির দপ্তর থেকে বেরিয়েই আত্মবিশ্বাসী বনি সেনগুপ্তর ঘোষণা। যে ভিডিওর কিয়দংশ এখন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালে! চর্চার অন্ত নেই।
মঙ্গলবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে জেরার মুখে পড়েন বনি সেনগুপ্ত। ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন ২০১৪ সালে 'বরবাদ' দিয়ে। বিগত দশ বছরে কাজ করে কত উপার্জন করেছেন? এবার সেই হিসেব-নিকেশের নথিপত্র জমা দিতে হল ইডির কাছে। অভিনীত সিনেমার সংখ্যা মোটে কটা। আর সেই উপার্জনেই বিদেশভ্রমণ থেকে বিলাসবহুল গাড়ি, জীবনযাপন!.. ভ্রু উঁচিয়েছেন অনেকেই। রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে ভয়ঙ্কর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর ৪০ লক্ষ টাকা লেনদেনের কথা শুনে ঘাম ছুটেছে অনেকেরই। কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুলে কম কটাক্ষ-সমালোচনা হচ্ছে না। তবে বনি নির্ভীক!
দ্বিতীয় দফায় ইডির কড়া জেরা। নেটদুনিয়ায় মিম-কটাক্ষের ভিড়! এতসব টলাতে পারেনি বনি সেনগুপ্তর আত্মবিশ্বাস। অতঃপর ইডির ঘর থেকে বেরিয়ে সদর্পে বলে বসলেন, "আমি টলিউডের লিডিং মোস্ট হিরো.." যে কথা শোনার পর নেটপাড়া সরগরম। অভিনেতাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে ছাড়ছেন না কেউই। কারও মন্তব্য, 'এসব বাতেলাবাজি।' কেউ বা আবার কটাক্ষ করে 'হিরো আলম, ঢপবাজ, নোবেলজয়ী অভিনেতা..' সম্বোধন করতেও ছাড়লেন না। বনি সেনগুপ্তকে কটাক্ষ করলেন অরিত্র দত্ত বণিকও।
<আরও পড়ুন: ‘কুন্তলের সঙ্গে চুক্তিপত্র না করাটা ভুল..’, ED-কাণ্ডে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া>
অরিত্রর কথায়, "সাধগুরু কিংবা সন্দীপ মাহেশ্বরীকে আজ থেকে আমি মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে আর গুরুত্ব দেব না। আত্মবিশ্বাস কাকে বলে দেখে নিন। এইভাবেই আমাদেরও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই সাফল্য আপনার দোরগোড়ায়।" অভিনেতার কথা শুনে বনিকে খোঁচা দিয়ে পাল্টা নেটিজেনদের মন্তব্য, "এটা দুয়ারে সাফল্য..।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এইপ্রথম টলিপাড়ার কোনও অভিনেতাকে তলব করেছে ইডি। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি থেকে বিনোদনমহল। ফিল্মি পরিবারের ছেলে হওয়ায় 'কান টানলে মাথা আসে..' প্রবাদ বাক্যের মতো এবার সমালোচনায় তাঁর মা পিয়া সেনগুপ্তর পাশাপাশি প্রেমিকা কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও। তবে ছেলের ইডি-জেরা নিয়ে পিয়ার মন্তব্য, "কুন্তল ঘোষের সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেনের চুক্তিপত্র না করাটাই ভুল হয়েছে।"