কুন্তল-কানেকশনের রেশ যেন কিছুতেই কাটছে না! ইডির দপ্তরে বার দুয়েক চক্কর কেটে, ৪০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিয়েও নিন্তার নেই। SSC দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অতীতের আর্থিক লেনদেন যেন বনি সেনগুপ্তর জীবনে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে নিয়ে নিন্দা-সমালোচনার ঝড়। এবার দুবাইয়ের ভিডিও শেয়ার করেও শুনতে হল- "এটাও কি কুন্তল ঘোষের টাকায়?"
২০১৭ সালে কুন্তল ঘোষের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন। সেই গাড়ি বর্তমানে হাত বদলে অন্যত্র গেলেও বিতর্ক, কটাক্ষ কিন্তু কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বনি সেনগুপ্তর। রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেতাকে নিয়ে নিন্দার ঝড়। এমনকী নেট-হেনস্তার শিকার বনির পরিবারও। মা পিয়া সেনগুপ্ত, প্রেমিকা কৌশানী মুখোপাধ্যায় কাউকেই রেয়াত করে কথা বলেননি নেটপাড়ার নীতি পুলিশেরা। এবার অভিনেতা দুবাই ট্যুরের রোমাঞ্চকর ছবি-ভিডিও দিতেই ফের ফোঁস করে উঠলেন নিন্দুকরা।
দুবাই সফরের একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন মাত্র বনি সেনগুপ্ত। যা নিয়ে নেটপাড়া এখন তোলপাড়। দুবাইের জনপ্রিয় রোমাঞ্চকর খেলায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে বনিকে। বহুতল বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে শূন্যে লাফ দিয়ে, বাঞ্জি জাম্পিংয়ের ভিডিও দেখে একের পর এক কটাক্ষবাণ উড়ে এল বনি সেনগুপ্তর দিকে। ভিডিওর ক্যাপশনে বনি লিখেছিলেন, "দুবাই, যেখানে আপনার অলীক স্বপ্নও পূরণ হতে পারে..।" তবে সেই দুঃসাহসী স্টান্ট দেখে টলিপাড়ার অভিনেতার প্রশংসা করার পরিবর্তে খেপে গেল নেটদুনিয়া। অতঃপর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেও ছাড়লেন না।
কারও প্রশ্ন, 'দুবাই ট্যুরও কি কুন্তল ঘোষের টাকায়?' কারও মন্তব্য, 'টলিউডের মোস্ট লিডিং হিরো আকাশে উড়ছে। কত টপে উনি।' কেউ বা আবার হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজের সঙ্গে তুলনা টানলেন বনি সেনগুপ্তর। কেউ বা আবার লিখলেন, 'ইডি আসবে বলে উড়ে যাচ্ছে..'এত কটাক্ষ-সমালোচনার মাঝে কি সত্যিই শহর ছেড়েছেন তিনি? আজ্ঞে না। কলকাতাতে বসেই দুবাইয়ের পুরনো ভিডিও শেয়ার করেছেন বনি। যা দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে নেটপাড়া।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের গোড়ার দিকেই ইডির তরফে ডাক পেয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত। যা নিয়ে রাজনৈতিক ময়দান তো বটেই, এমনকী বিনোদুনিয়াও তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। ভুগেছে বনির সিনেমার ব্যবসাও। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, 'বিজেপি ছেড়েছেন বলেই কি ইডির তরফে তলব পড়েছিল..?' বনি সেনগুপ্ত নিজেও যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে শিকার করেছেন যে, গেরুয়া শিবির ছাড়ার জন্যই তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।