বনি সেনগুপ্ত। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির এই নাম এখন রোজকার খবরের শিরোনামে। রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে চুক্তিপত্র-হীন আর্থিক লেনদেনের জেরেই ফেঁসে গিয়েছেন। ২বার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে ডাক পড়ে বনির। শেষমেশ ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতেই ক্লিনচিট..! তবে এত্তসব চর্চার মাঝে ভুগতে হল বনির সিনেমাকে। ইডি কাণ্ডের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ল সিনেমার ব্যবসায়। অতঃপর নেটপাড়া সেই বিষয়েও চর্চা করতে ছাড়ল না।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নিজেকে বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির 'লিডিং হিরো' বলে সম্বোধন করেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। যা নিয়ে কম চর্চা, খিল্লি হয়নি নেটপাড়ায়! বহু কটুক্তি, সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেতাকে। যার প্রভার পড়েছে বনি সেনগুপ্তর সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমা 'আর্চির গ্যালারি'র ব্যবসায়। ২০টি সিনেমাহলে চললেও বক্সঅফিসে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে এই ছবি। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট সংশ্লিষ্ট ছবির পরিচালক প্রমিতা ভট্টাচার্যও।
<আরও পড়ুন: বাংলা সিনেমার রেকর্ড, হলিউডি ভিড়ে টাইম স্কোয়ারের ‘দানবীয়’ বিলবোর্ডে ‘দোস্তজী’র টিজার>
তাঁর কথায়, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই 'আর্চির গ্যালারি' দেখে প্রশংসা করেছেন। তবে এসবের কিছুই জানা ছিল না তাঁরা। এদিকে প্রিমিয়ারের দিনই ইডি-র তরফে তলব করা হয় বনি সেনগুপ্তকে। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি থেকে বিনোদুনিয়া তোলপাড় হয়। এর প্রভাব পড়েছে সিনেমার ব্যবসাতেও। এদিকে ডিস্ট্রিবিউটর শতদীপ সাহার মন্তব্য, বক্সঅফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি 'আর্চির গ্যালারি'। বনি সেনগুপ্তর আগের সিনেমাগুলোর মতো এটাও দেখছেন না দর্শকরা। অতঃপর প্রথম সপ্তাহেই সিনেমার ব্যবসায়িক অঙ্ক মোটেই ভাল নয়।
যা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে ছাড়ছেন না নেটপাড়ার নীতিপুলিশেরা। 'আর্চির গ্যালারি'র নামের পাশে অনেকেই সুপারফ্লপ তকমা সেঁটেছেন। কেউ কেউ আবার 'Leading Hero' প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিতেও পিছপা হলেন না।