হরর কমেডি নিয়ে বড়পর্দায় ফিরছেন হরনাথ চক্রবর্তী। তিন বন্ধু কাজের খোঁজে একটি যন্ত্রের সন্ধান পায় যাতে ভূত রয়েছে। আর এই যন্ত্র দিয়েই ব্যবসা ফাঁদে তারা। কমেডির আড়ালে রহস্য, আলৌকিক বিষয় নিয়ে আসরে 'ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড। এদিন এই আলৌকিক কাণ্ডকারখানা নিয়ে আড্ডা হতে হতে ভূত দেখার অভিজ্ঞতার কথা বললেন বনি সেনগুপ্ত।
ভূতে বিশ্বাস করেন? প্রশ্নটা করার সঙ্গে সঙ্গেই বনির সটান জবাব, ''একদম! দেখেছি ছোটবেলায়। কী রকম? কালিম্পংয়ে একটি গেস্ট হাউস ছিল, পাপার (অনুপ সেনগুপ্ত) সঙ্গে শুটিংয়ে গিয়েছিলাম। ১২-১৩ বছর বয়স হবে। মূল হোটেলের থেকে দূরে ছিল আমাদের কটেজটা। প্রথমদিনই কটেজের বারান্দায় একটা বক্স ছিল। আর ছোটবেলায় সবকিছুতেই মনে হত গুপ্তধন আছে। খুলে দেখব ভেবেছি।''
আরও পড়ুন, এই জায়গায় পৌঁছতে ১৩ বছর লেগে গেল: দেব
''প্রতিদিন দেখতাম সেই বাক্সটায় পুজো করা হত। একদিন খুলে ফেলেছিলাম কৌতুহল বশত। পরদিন থেকেই কারও না কারও শরীর খারাপ বা ঝগড়া হচ্ছে। একদিন আমি শুটিংয়ে যাইনি দিদার সঙ্গে কটেজেই ছিলাম। এখনও স্পষ্ট মনে আছে একটা ছায়া মতো সরে যেতে দেখেছি। বাচ্চা ছেলের ছায়া। পরে রিসেপশনে জিজ্ঞেস করলে ওরা বলেছিল, 'স্যার ওই বাক্সটা কেউ খুলেছিসল। আসলে হোটেলের মালিকের সন্তান মারা গিয়েছিল আর তারই সমস্ত খেলার জিনিস ওই বাক্সটায় রাখা আছে।' আমি সেই খেলার জিনিসগুলো নিয়ে খেলেছিলাম।''
তবে ভূতচক্রের ফ্লোরেও বনির বারবার মনে পড়েছে ওই ঘটনার কথা। পুরো ছবিতে সেই অনুভূতিটাই রাখার চেষ্টা করেছেন এবং শ্রাবন্তী ও ঋত্বিকাকে সারাক্ষণ ভয় দেখিয়েছেন বনি সেনগুপ্ত।