বাংলা ছবির জয়জয়কার! পুজোয় চারটে ছবি, আর প্রত্যেকটাই মানুষকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে। ভিন্ন ধরনের ছবি, থ্রিলার থেকে ঐতিহাসিক আবার কোথাও সত্য ঘটনা অবলম্বনে। বাংলা ছবির পাশে মানুষ দাঁড়িয়েছেন? আলবাত! ঠাকুর দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা হলমুখী।
শিবু নন্দিতা হোক কিংবা সৃজিত মুখোপাধ্যায় অথবা অরুণ রায়। ছবি বানিয়েছেন এবং মানুষ সেটি আনন্দের সঙ্গে দেখতে গিয়েছেন। পছন্দের পরিচালকদের ছবি দেখে অনেকেই আপ্লুত আবার অনেকেই আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে, বাংলায় যে বাংলা ছবি রাজ করতে পারে একথা পরিষ্কার। যত দিন পার করেছে তত শো সংখ্যা বেড়েছে। এদেশে তো বটেই দশম অবতার পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও। অন্যদিকে শো বেড়েছে রক্তবীজের।
সৃজিত - শিবপ্রসাদ এবং দেব নিজ দায়িত্বে ছিনিয়ে নিয়েছে বক্স অফিসের বিরাট অংশ। একদিকে দেবের ছবি যেমন সব বয়সের সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তেমনই সৃজিতের ছবিতে মন গলেছে তরুণ প্রজন্মের। ৮ দিনের পর কে কোথায় দাঁড়িয়ে?
বাঘা যতীন: প্রথম দিন থেকেই প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করেছে এই ছবি। বাংলা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বাই সর্বত্র ভালই প্রশংসা পেয়েছে। সর্বমোট দেবের এই ছবি ৩.২৫ কোটির কাছাকাছি ব্যবসা করে ফেলেছে। পরবর্তীতে শো আরও বাড়ে কিনা সেটাই দেখার। যদিও দেব জানিয়েছিলেন তিনি আফসোস করতে চান না। যেটা চেষ্টা করেছেন সেটা পেরেছেন। যদি ফ্লপ করত তাও এটাই ভাবতেন যে চেষ্টা তো করেছেন নতুন কিছু করার।
রক্তবীজ: শিবপ্রসাদ নন্দিতার এই ছবি ভারতের নানা জায়গায় মুক্তি পেয়েছে। বাংলাতেও সাসপেন্স থ্রিলারের উদাহরণ যদি দেওয়া যায় তবে রক্তবীজের উল্লেখ হওয়া উচিত। যেভাবে প্রথম থেকে দর্শককে ভাবতে তাঁরা বাধ্য করেছেন সেটাই তারিফ করার মত। এই ছবি ৮ দিনের শেষে, প্রায় ২.৩৯ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে। দেখেছেন প্রায় এক লক্ষ ৪০ হাজারের কাছাকাছি দর্শক।
দশম অবতার: এবারের পুজোর শো স্টপার এই ছবি। সৃজিত - বুম্বা - অনির্বাণ কম্বো কাঁপিয়ে দিয়েছে। প্রবীর বাবুর পর্দায় ফেরা সার্থক। প্রায় সাড়ে চার কোটির কাছাকাছি ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি। বাংলা ছবির ইতিহাসে এই দৃশ্য বিরল। যদিও, আশা এখনও অনেকটাই বাকি রয়েছে।
জঙ্গলে মিতিন মাসি: নারীকেন্দ্রিক ছবি এখন টক অফ দ্যা টাউন। শুধু তাই নয়, কোয়েল মল্লিক বলে কথা। চারটি ছবির মধ্যে এই ছবির বক্স অফিস রেকর্ড একটু কম। তাও ২ কোটি ছুঁয়ে নিতে আর বেশি দেরি নেই। ১.৮০ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি তাও আবার ৮ দিনে।
বাংলা ছবি বনাম বাংলা ছবি নাকি একে অপরকে ধরে রাখার বাংলা ছবি। এবার পুজোয় তারকা সম্মিলিত এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। প্রত্যেকেই চারটে ছবি দেখার কথা বলেছেন বারবার। বাংলায় উৎসবের দিনেও যে হল ভর্তি হয় সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষ। লক্ষ্য শুধু একটাই, যে পরিমাণ আয় হিন্দি ছবির কারণে হয় সেটি বাংলা ছবি থেকে সম্ভব কিনা...