দঙ্গলের পরে সবথেকে বেশি ব্যবসা করছে রাজকুমার হিরানির পরিচালিত ছবি সনজু। বির্তকিত অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক। যার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর। ছবি মুক্তির একমাস পরেও সনজুর ক্রেজ কমেনি এতটুকু। পাল্লা দিয়ে বক্সঅফিসে টক্কর দিচ্ছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর সঙ্গে। এই মূহুর্তে আমির খানের 'পিকে' আর সলমন ভাইয়ের 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' থেকে আর কয়েক কদম দূরে 'সনজু'। পিকে আর টাইগার জিন্দা হ্যায় তাদের বক্সঅফিসের দৌড় শেষ করেছিল ৩৪০.৮ কোটি ও ৩৩৯.১৬ কোটিতে। তবে আশা করা যাচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যে এই মাপকাঠিতেও পৌঁছে যাবে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা বলেছিলেন, ''একবার যদি নিজেকে বুঝিয়ে নিতে পারেন পর্দায় যে সনজুকে দেখছি সেটাই সত্যি, আর হিরানির ছবি থেকে এর বেশি কিচ্ছু পাওয়ার নেই, তাহলে ছবি আপনার ভাল লাগবে। পর্দায় সঞ্জয় দত্ত হিসাবে চোখ বুজে বিশ্বাসযোগ্য রণবীর কাপুর। শুধুমাত্র সঞ্জয়ের শরীরী ভাষাই নয়, তার আভ্যন্তরীণ সংশয়কেও ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতা। সুনীল দত্তের ভূমিকায় পরেশ রাওয়ালের অভিনয়ও দৃষ্টান্তমূলক। রণবীরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন তিনি, কিছু সময়ে এগিয়েও থেকেছেন। নার্গিস দত্তের চরিত্রে মনীষা কৈরালাকে দেখে মনে হলো তাঁকে আর একটু বেশি দেখা গেলে ভাল হত। সঞ্জয়ের জীবনে কুপ্রভাব যে মানুষটি, সেই ভূমিকায় জিম সার্ভ অত্যন্ত সপ্রতিভ। আর নিউইয়র্কে সনজুর গুজরাতি বন্ধু যে জীবনের পাঠ পড়িয়েছিলেন, সেই চরিত্রে ভিকি কৌশল অনবদ্য। হিরানি তাঁর পরিচালনার মধ্যগগনে, আত্মজীবনী থেকে উঠে আসা প্রত্যেকটি চরিত্রকে যেন অন্ধ অনুসরণ করেছেন''।
আরও পড়ুন, Sanju movie review: রণবীর কাপুর অভিনীত এই ছবি চিত্তাকর্ষক
তবে 'মিশন ইম্পসিবল: ফলআউট' আর 'সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার থ্রি' ছবি দুটি সনজুর ব্যবসায় অন্তরায় হতে পারে। এই শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে দুটি ছবি। সনজুর এখন সবথেকে বড় থ্রেট মিশন ইম্পসিবল। সে চ্যালেঞ্জ কেমন ভাবে মোকাবিলা করে সনজু, সেদিকে তাকিয়ে হিরানিরা।