Sahitya Akademi Awarad 2022: বাংলার শিক্ষামন্ত্রীকে কেন্দ্রের তরফে বিরাট সম্মান। সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার (Sahitya Akademi Awarad) পেলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। একাধারে তিনি যেমন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব, আবার অন্যদিকে সিনে-পরিচালক তথা অভিনেতাও। এসবের পাশাপাশি সমান দক্ষতায় রাজনৈতিক পাটও সামলাচ্ছেন ব্রাত্য। মোট ২০টি ভাষার সাহিত্যচর্চা ক্ষেত্রে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে বাংলা থেকে একমাত্র এহেন সম্মানে ভূষিত হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নিঃসন্দেহে গর্বের।
মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর তরফে ২০১৯ সালে প্রকাশিত 'মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক' শীর্ষক বইটির লেখক হিসেবেই ২০২১ সালের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার এল ব্রাত্যর ঝুলিতে। মীরজাফর ছাড়াও এই বইয়ের বাকি দুটি নাটক হল 'আমি অনুকূলদা আর ওরা' এবং 'একদিন আলাদিন'।
তিনি আগাগোড়াই মঞ্চে দাপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি তীক্ষ্ণ কলম বাণে পারদর্শী। ব্রাত্য সৃষ্ট একাধিক কালজয়ী নাটক সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে বেজায় জনপ্রিয়। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, 'দর্জিপাড়ার মর্জিনারা', 'রুদ্ধসঙ্গীত', 'কৃষ্ণগহ্বর', '১৭ই জুলাই হয়ে ভয়', 'দ্য প্রিন্স অফ গরানহাটা'র মতো নাটকগুলো। যেগুলো নিঃসন্দেহে ব্রাত্যর ঝুলিতে আসা এই বিরাট সম্মানের দাবিদার।
প্রসঙ্গত, গোয়ায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (IFFI) থেকে ব্রাত্য বসু পরিচালিত ছবি 'ডিকশনারি' বাদ পড়ায় বেজায় শোরগোল শুরু হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেই অভিযোগ উঠেছিল, রাজনৈতিক অভিসন্ধির কারণেই নাকি ২৫টি সিনেমার মধ্যে বেছে বেছে বাংলার মন্ত্রী তথা পরিচালক ব্রাত্যর ছবি তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এমনকী, সেই সিনেমার প্রযোজককে নাকি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষের তরফে এমনও বলা হয় যে, "আপনাদের প্রোডাকশন হাউসের অন্য ছবি দিন, কিন্তু ডিকশনারি নয়।" সেই প্রেক্ষিতেই বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখন সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে আঙুল তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন। তবে, সেই ঘটনার মাস ঘুরতেই এবার কেন্দ্রের তরফে অনন্য সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। পেলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন