তিনি পশ্চিমবাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কথায় বলে, রাজনীতির মঞ্চে আজও এই সাহস কারওর হয়নি যে বুদ্ধবাবুর সাদা ধুতিতে কালী ছেটাবেন। এবার, তাঁকে নিয়েই কুণাল ঘোষ বলেন, "বুদ্ধবাবুকে সম্মান করলেও ওকে মহাপুরুষ মানতে পারছি না।"
Advertisment
বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করছে গোটা বঙ্গবাসী। বর্তমানের শাসকদলের রাজনীতিবিদরাও তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন। এরইমধ্যে, কুণাল ঘোষের বক্তব্য আগুনে ঘি ঢালার মত। একজন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এহেন কথা বলবেন কেন কুণাল ঘোষ? তৃণমূলের মুখপাত্রকে নিয়ে চরম চর্চা! তাঁকে একহাত নিলেন পরিচালক প্রযোজক রানা সরকার।
বুদ্ধবাবুকে মহাপুরুষ বলা হবে কেন এই নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। রেশ টেনে রানা বললেন, "কুনাল বাবু, বিশ্বাস করুন আপনাকে কেউ 'চোর' বললে আপনার যতটা দুঃখ বা লজ্জা হয়, বুদ্ধদেব বাবুকে কেউ 'মহাপুরুষ' বললে ওনার ঠিক ততটাই দুঃখ বা লজ্জা হবে"। এখানেই শেষ নয়। প্রকাশ্যে তাঁকে চোর বলেই সম্বন্ধ করলেন তিনি। কিন্তু হালকা হিউমারের সুরে আবার সামলেও নিলেন। আরও বললেন...
"আপনার তবু উপায় আছে আইন আদালতের মাধ্যমে প্রমান করার যে আপনি 'চোর' নন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাছে কিন্তু কোনো রাস্তা নেই প্রমান করার যে উনি 'মহাপুরুষ' নন। আরও বড় ব্যাপার, আপনি যখন অসুস্থ ছিলেন পা ভেঙেছিল তখনো আপনাকে যারা 'চোর' বলেছিল তাদের মনুষ্যত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একই ভাবে বুদ্ধদেব বাবুর অসুস্থতার সময় তিনি 'মহাপুরুষ' কিনা সেই নিয়ে আলোচনাটাও অমানবিক একটা বিষয়।"
সহজে সত্যি কথা বলতে নেই। কাউকে মুখের ওপর সত্যি বলতে নেই, এমনটাই দাবি করেন রানা। বুদ্ধবাবুর সম্মানের খাতিরেই তিনি আরও বলেন.. ছোটবেলা থেকে বাবা মা শিখিয়েছিলেন 'কানা কে কানা বা খোঁড়া কে খোঁড়া' মুখের ওপর বলতে নেই। তাই কাউকে চোর বা কাউকে মহাপুরুষ, এমনকি সেগুলো সত্যি হলেও মুখের ওপর বলা উচিত না।
বুদ্ধবাবুর আরোগ্য কামনা করলেন পরিচালক। বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে নানা উল্লেখ করলেন তিনি। আপাতত, সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাকি হাত নেড়েছেন তাঁকে দেখে।